ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আজিজুল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের বড় তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ৯ জনের নাম উল্লেখকরে এবং অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামিকরে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই ইউপি সদস্য। এ দিকে হামলার এ ঘটনায় অভিযু্ক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. মামুন মিয়া (৪৪), মেয়ে মোছা. মমতা বেগম (২৪),
মো. মামুন মিয়ার পুত্র মো. সাব্বির মিয়া (২২), মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে
মো. আলমগীর (৩৮), মো. শাহ আলম (৩৫), আব্দুল বারেকের পুত্র মো. হুমায়ুন (৩৮), মো. সানাউল্লাহের ছেলে মো. জামান মিয়া (২৬), আবুল হাশেমের ছেলে মো. জয় মিয়া (২১), মো. আলমগীরের স্ত্রী রিতা আক্তার (২৬)।
ওই ইউপি সদস্যের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে অভিযুক্ত মামুন মিয়া এবং মো. হুমায়ুন মিলে পার্শ্ববর্তী এলাকার জলিল মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহ আটক করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে খবর দিলে তিনি সেখানে যান। এরপর স্থানীয় লোকদের সম্মতিতে তিনি জলিল মিয়া নামক ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হোন মামুন মিয়া এবং মো. হুমায়ুন।
এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামুন মোড়ে গেলে সেখানে দেখা হয় জলিলের সঙ্গে। ওই অবস্থায় দুজনের মধ্যে আগের বিষয়টা নিয়ে বাকবিতণ্ডা
একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের সরিয়ে নিলে জলিল বাড়ি চলে যায়। এদিকে মামুন বাড়ি ফিরে দলদল নিয়ে ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা চালায়। ইউপি সদস্যের ভাষ্যমতে, মামুন বলেন ' তুই ওইদিন ছাড়াইয়া না দিলে ওরে ওইদিন বানাইতাম। আজকে তোর লাইগ্যা আমারে মারার সাহস পাইছে। তাই তোরে আগে খাইছি'।
এদিকে ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলার পর থেকে অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে। তবে বাড়িতে পাওয়া যায়, অভিযুক্ত আলমগীরের স্ত্রী রিতা আক্তারকে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই এ ঘটনার অভিযুক্ত। রিতা বলেন - ' ওই মেম্বার যা অভিযোগ করছে সব মিথ্যা। সে নিজে এগুলো ভেঙে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধারকরে'।
এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য আজিজুল হকের স্ত্রী হারেছা খাতুনসহ বাড়ির অন্য মহিলারা বলেন- ' ওইসব দলবলদের সাথে রিতাও আসে। সে হাতে একটি দা নিয়ে আমাদের
জানালার কাচের গ্লাস, ঘরের জিনিসপত্রে কুপাকে থাকে। হামলা চালিয়ে পুরুষেরা পালিয়ে গেলেও আমরা রিতাকে ধরে পুলিশে খবর দিই'।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন- ' ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে'।