কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের তোতকখালীতে পাহাড় কাটার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
শনিবার তোতকখালীতে পাহাড় কাটার কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মুসাইব ইবনে রহমান।
এসময় তিনি ঘটনাস্থলের স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেন এবং বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলেন। তবে ঘটনায় জড়িত কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শক মুসাইব ইবনে রহমান।
তিনি বলেন, 'তোতকখালীতে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে পাহাড় চাপা পড়ে আহত শ্রমিক এবং ঘটনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।' এর আগে গত শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্যভিত্তিক সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এলাকাবাসী জানান, তোতকখালীতে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি বিক্রি করে আসছে মামুন, কাদের, ধলু, আমিন ও বাবুলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। তারা পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাক যোগে মাটি ও বালি বিক্রির পাশাপাশি নিচু জমি ভরাটের ঠিকাদারি কাজও পরিচালনা করেন। ইতিমধ্যেই তোতকখালী ও এর আশপাশের এলাকায় গত দুই মাসে ১৫/১৬টি জমি ভরাট করেছেন। কেটে নেয়া হচ্ছে ৬ টি পাহাড়। কিন্তু সিন্ডিকেটটি প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস করে না।
এলাকাবাসী আরও জানান, সিন্ডিকেটটির সাথে পাহাড় কাটতে গিয়ে গত শুক্রবার ভোরে নুরুল ইসলাম কালু নামের এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া মামুন ও কাদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগে ইতিপূর্বে মামলাও করে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু সিন্ডিকেটটি একের পর এক পাহাড় কাটা অব্যাহত রাখে। এদিকে দ্রুত যৌথ অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ।