নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী মোঃ রানাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ এর একটি টিম।
শনিবার ২৭ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ রানা সোনারগাঁ থানাধীন মাঝেরচর এলাকার সোহরাব মেম্বারের পুত্র।
২৮ জানুয়ারী দুপুরে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার ও এএসপি সনদ বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চর নোয়াগাঁও গ্রামের শফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ২৫ জানুয়ারি বিকেলে রূপগঞ্জের ভুলতা-গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ের কাজে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠেন। দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না উঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এসময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার কারণে অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালক দায়েন এবং রানার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়।
এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানা লাঠি দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তাদের সাথে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরা ভিকটিমকে কিল ঘুষি ও মারধর করে। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি রাতে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাঝের চর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানা'সহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ আরও পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সাথে তার অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাকত প্রধান আসামী মোঃ রানাকে সোনারগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী'কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।