ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে মা-বাবা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ: তদন্তে পুলিশ

সিরাজগঞ্জে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে মা-বাবা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ: তদন্তে পুলিশ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকার গোপাল জিউ মন্দির মহল্লায় একটি তালাবদ্ধ ফ্লাট থেকে মা-বাবা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে র‌্যাব, সিআইডি ও পিবিআই।

নিহতরা হলেন- কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার(৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)। একই পরিবারের তিনজনের গলা কাটা লাশ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্রী প্রকাশ চন্দ্র সরকার (৬৯) ও তার ভাই বিকাশ চন্দ্র সরকার নিজ বাড়ির তৃতীয় তলায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। এছাড়া নিচের একতলা ও দোতলায় ভাড়াটিয়ারা থাকেন। এ ফ্লাটের তৃতীয় তলার পূর্ব দিকের কক্ষে বিকাশ তার স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে থাকতেন। আর পশ্চিম কক্ষে মা ও স্ত্রী ছেলে নিয়ে থাকতেন বড় ভাই প্রকাশ। বড় ভাই প্রকাশ চন্দ্র জানান, রোববার ভোর থেকে ছোটভাই বিকাশ সরকারের কক্ষে তালা ঝুলানো ছিল। তালা ঝুলানো দেখে মনে করা হচ্ছিল তারা অন্য কোথাও গেছে। ওইদিন দুপুরে বগুড়ার শেরপুর থেকে ভাগ্নে প্রদ্দুত সরকার ফোন করে বলে মোবাইলে ছোট মামার কোন খোঁজ খবর পাচ্ছিনা। ভাগ্নের ফোন পাওয়ার পর বিকেলেও তালা না খোলা এবং কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এজন্য আমরা একে অপরকে ফোন করে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরদিন সোমবার গভীর রাতে থানায় গিয়ে এই ঘটনা জানানো হয়। পুলিশ ওই রাতেই ফ্লাট বাড়িতে আসে এবং তালা কেটে তাদের কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পায় এককক্ষে মা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ এবং অপর এক কক্ষের মেঝেতে বাবার গলাকাটা লাশ।

পুলিশ মঙ্গলবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনে এবং বিকেলে তাদের লাশ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। দুপুরে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সামিউল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া) অমৃত কুমার সূত্রধরসহ অনান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সামিউল আলম বলেন, জমিজমা সংক্রান্তসহ অন্যকোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ঘটনায় এই ট্রিপল মাডার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ড তদন্ত স্বার্থে পুলিশ ওই ফ্লাট বাড়িটি ঘিরে রেখেছে এবং কঠোর নজরদারী রাখা হচ্ছে। এছাড়া র‌্যাব-১২, সিআইডি ও পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থল তদন্ত শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।

সিরাজগঞ্জ,তাড়াশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত