নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদীর তীরে চর কিশোরগঞ্জ ও চর হোগলা এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫ টি দুতলা টিনসেড রেস্টুরেন্ট ১২ টি দোকান, বালুর গদি সহ ৩৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চর কিশোরগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকালে বাধাঁ দিয়ে হামলা চালালে ২ জনকে আটক করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার ৩১ জানুয়ারী বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বিকেল চারটায় অভিযান শেষ হয়। অভিযানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ'র মেঘনাঘাট নদীবন্দরের উপপরিচালক শরীফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
চর কিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় অবৈধ দখলদারদের বাঁধা ও হামলার সম্মুখিন হন। পরে রেস্টুরেন্ট মালিক শ্রমিক ও এলাকাবাসি উত্তেজিত হয়ে অভিযানে হামলা চালিয়ে ঢিল ছুরে একটি ভেকু ভাংচুর করে। এসয় কিছুক্ষন উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে পুলিশ গিয়ে দুজনকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। অভিযানে রূপসী চাইনিজ রেস্তরাঁ, দি মুন লাইট ক্যাফে এন্ড রেস্তরাঁ, ওয়াটার ক্রুস রেস্তরাঁ, দি ফুডল্যান্ড রেস্তরাঁ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে চর হোগলা এলাকায় নদী দখলকাজে নিয়োজিত একটি ড্রেজার ও এর পাইপ এবং গাছের গুরি দিয়ে নদী দখলের উদ্দেশ্যে নির্মিত গাছের গুড়ির পাইলিং ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে হামলা চালানোর অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাছলিমা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটককৃত ১ জনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম চর কিশোরগঞ্জের মনির হোসেনের পুত্র।
এ অভিযানের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ মেঘনা ঘাট নদী বন্দরের উপ পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যের বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ১০০ টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নত করে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। আটককৃত একজনকে ম্যাজিট্রেট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন। বুধবার ৩৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।