ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানিকগঞ্জে আদালতে মুসলেকার পরও চলছে অবৈধ ইটভাটা

মানিকগঞ্জে আদালতে মুসলেকার পরও চলছে অবৈধ ইটভাটা

মানিকগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা ও ভাটা বন্ধের মুচলেকা দেবার পরও বন্ধ হয়নি অবৈধ ইটভাটা।

জানা গেছে, সদর উপজেলার ভাটবাউর এলাকায় গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহসিয়া তাবাসসুম। এসময় সরকারি অনুমোদন ছাড়া ইট তৈরি ও বিক্রি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপনসহ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মেসার্স জামাল এন্ড সন্স, অসিম ট্রেডার্স, আব্দুর রহমান এন্ড কোং ও আব্দুল মালেক ব্রিক্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আদালতের কাছে এসবের মালিকেরা সেদিন থেকেই ইটভাটা বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে ভাটা সরিয়ে নেওয়ার মুসলেকা দেয়।

সরেজিমনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) আদালতের কাছে মুসলেকা দেবার ৯দিন পার হলেও চারটি ইটভাটাই পুরোদমে চালু রয়েছে। চলছে ইট প্রস্ততকরণের সব আয়োজন। কোনো শ্রমিক ইট তৈরি করছে। কেউ মাটি ভাঙছে। কোনো শ্রমিক ব্যস্ত চুল্লির ভেতর আগুন দিতে। কিছুক্ষণ পরপর মাটি নিয়ে ঢুকছে ট্রাক। দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই যে, কয়েকদিন আগেও এসব ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ভ্রাম্যমান আদালতে মুসলেকা দেবার পরও কিভাবে ইটভাটা চালু রয়েছে সে বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে মেসার্স মালেক ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালেক জানান, ভাটা বন্ধ কিভাবে করবো। এভাবেই চালিয়ে নিতে হবে। রহমান ব্রিকসের মালিক আব্দুর রহমান বলেন এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অসীম ও জামাল ব্রিকসের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পরিবেশ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডক্টর ইউসুফ আলী বলেন, এ বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় কে অবগত করা হবে।

এ বিষয়ে, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহসিয়া তাবাসসুম জানান, বিষয়টি আমি আমার সিনিয়র অথরিটিকে ইনফর্ম করছি।

অবৈধ ইটভাটা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত