কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নের দুই হাতের কবজি কেটে নেওয়ার ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউনিয়নের রায়খোলা গ্রামের রায়খোলা গ্রামের সুরুজ মিয়া (৪৫), মো. শহিদুল ইসলাম (২৪), মামুন মিয়া (৩৬), শাকিব মিয়া (২৪) ও আলামিন (২৬)।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) বিকালে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১২টার পর আহত নয়নের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম শরীফ বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, "সতেরদ্রোণ এবং রায়খোলা গ্রামের মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এ দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। দুই বছর আগে রায়খোলা গ্রামের হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে সতেরদ্রোণ গ্রামের লোকজন। ওই হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি ছিলেন সতেরদ্রোণ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম নয়ন। নয়নের বাবা শাহজাহান মিয়াও ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। পরে অভিযোগপত্র থেকে দুজনের নাম বাদ যায়।"
"পুর্বের এ ঘটনার জেরে রায়খোলা গ্রামের লোকজন এ হামলা করেছে বলে প্রাথমিক ধারনা পুলিশের। পুর্নাঙ্গ তদন্তে বিষয়টি আরও পরিস্কার হবে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।"
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) রাত নয়টার দিকে আহত কটিয়াদি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন মোটরসাইকেলযোগে উপজেলার গচিহাটা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাছারিপাড়া মোড়সংলগ্ন মুচিবাড়ির কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা করে। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নয়নের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে পালিয়ে যায়।
স্থনীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিচ্ছিন্ন কবজি একটি রক্তাক্ত চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ।