বিআইডব্লিউটিএর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)’র গুদামে রাখা পোড়ে যাওয়া মালামালে আবার দ্বিতীয়বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা অনেকের কাছে বিষয়টি আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকার বিআইডব্লিউটিএর গুদামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিলো। ফায়ায় সার্ভিসের ৯ টি ইউনিটের ৫৪ জন সদস্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। 

এর আগে ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিএর এই গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। সেবার প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিলো। সেই সাথে পুড়ে যাওয়া পাইপগুলো গুদামে স্তুপ করে রাখা হয়েছিলো। আর সেই স্তুপ করে পাইপগুলোতেই আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মচারী জানান, দুপুরে নদী থেকে ধোঁয়া দেখি। গোডাউনে এসে দেখি অনেক বড় আগুন লেগেছে। যা পানি দিয়ে নেভানো সম্ভব ছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন। 

এই ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। এসময় নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হক, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোঃ শহীদ উল্যাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

ঢাকা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বরে এখানেই আগুন লেগেছিলো। সেসময় পুড়ে যাওয়া পাইপগুলো এখানে স্তুপ করে রাখা হয়েছিলো। সেই স্তুপেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। পাইপগুলো প্লাস্টিক হওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ঘাসের মতো শুষ্ক কিছু থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। যেহেতু পূর্বের ঘটনার ধ্বংসাবশেষ এখানে রাখা ছিল, আমার মনে হচ্ছে এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র এটা নাশকতা মূলত কোন কিছু না। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সাপেক্ষে এ বিষয়টা বলা যাবে।

তিনি আরও বলেন, যতটুকু আমার কাছে মনে হয়েছে পাইকগুলো প্লাস্টিকের হওয়ায় আগুন লাগলে সেটা তো নেভানো সম্ভব নয়। প্লাস্টিকের পাইপগুলো একেবারে পুড়ে গেলেই এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমার ধারণা। গতবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেটা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো অনুমোদন পাইনি। তাই সেই কারণে বিগত ঘটনার ধ্বংসাবশেষ এখানে রাখা হয়েছিলো। এই ঘটনায় নতুন করে আবারও তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, গুদাম ঘরের ভেতরে আমাদের সিসিটিভির নিরাপত্তাটা বেশি জরুরী। বাহিরে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল কিনা সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। যদি সিসিটিভি থাকে তাহলে ক্যামেরার ফুটেজ তদন্ত করে দেখা হবে।