মানিকগঞ্জে ভাটা বন্ধের মুচলেকা ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ইটভাটা পরিচালনা করায় চারটি ইটভাটায় ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউড় এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী।
অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মেসার্স জামাল এন্ড সন্স, অসিম ট্রেডার্স, আব্দুল মালেক ও আব্দুর রহমান ব্রিক্সকে১০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ ও ফায়ারসার্ভিস দিয়ে চুল্লির আগুন বন্ধ করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধ এসব ইটভাটায় গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহসিয়া তাবাসসুম। এসময় সরকারি অনুমোদন ছাড়া ইট তৈরি ও বিক্রি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপনসহ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মেসার্স জামাল এন্ড সন্স, অসিম ট্রেডার্স, আব্দুর রহমান এন্ড কোং ও আব্দুল মালেক ব্রিক্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আদালতের কাছে এসবের মালিকেরা সেদিন থেকেই ইটভাটা বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে ভাটা সরিয়ে নেওয়ার মুসলেকা দেয়।
এসব ভাটার মালিকেরা আদালতের কাছে ভাটা বন্ধের মুচলেকা দিলেও ইট তৈরিসহ ভাটার আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চালু রাখে। এ বিষয়ে আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় "মানিকগঞ্জে আদালতে মুসলেকার পরও চলছে অবৈধ ইটভাটা" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
অভিযান উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র কেমিস্ট এ. কে. এম, ছামিউল আলম কুরসি, উপপরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী, সদর দপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ শামছুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মো. রেজুওয়ান ইসলাম।
অভিযানে জেলা পুলিশ ও সদর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।