ফেব্রুয়ারী বাঙালী জাতির জন্য একটি অহংকারের মাস: ওসমান গনি পাটওয়ারী
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
শওকত আলী, চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলা পরিষদের গত ৭বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে অবহিতকরণের লক্ষে চাঁদপুর প্রেসক্লাব এ’ নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সাথে চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অত্যান্ত আনন্দঘন পরিবেশে জেলা পরিষদের আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে থেকে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওসমান গনি পাটওয়ারী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রোটা. মাহবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওসমান গনি পাটওয়ারী ও নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, এ ফেব্রুয়ারী মাস বাঙালী জাতির জন্য একটি অহংকারের মাস। এ মাসেই প্রথম ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে জাতিকে মুক্র করার জন্য বীজ রোপন করা হয়েছে। আমি এই ভাষার মাসে সকল শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই,এ ফেব্রæয়ারী মাস জাতির একটি গৌরবের মাস। আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাষা দিবস পালিত হয়। এটি আমাদের জন্য গৌরবের। জাতির পিতা আমার আদর্শ। আমি জাতির পিতার কর্মী হিসেবে ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচন করি। আমার ওই সময়ে সবার আগে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি যতদিন জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকবো, ততদিন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে কাজ করবো। জেলা পরিষদ সবসময় তাদের পাশে আছে। আমরা বৃত্তি ও অনুদানসহ বিভিন্ন বরাদ্দ দিয়ে থাকি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের অহংকার, তিনি চাঁদপুরের মানুষকে ভালোবাসেন। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মানুষের জন্য প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করি শতভাগ না হলেও কিছু করার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি জনবান্ধন, সাংবাদিকবান্ধব ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বান্ধব জেলা পরিষদ গড়ে তোলার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারের উন্নয়নগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের যে দায়িত্ব কাজগুলো করার জন্য। জেলা পরিষদ একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। এটি দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে আসছে। আমাদের প্রান্তিকভাবে যে কাজগুলো করছে, তা প্রচার ও প্রসার নেই। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই প্রচারগুলো চাচ্ছি। আমরা প্রতি বছর অসহায় মানুষদের জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে থাকি।
প্রধানমন্ত্রী একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০৪১ সালে ভিশনের মধ্যে বলা আছে কৃষককে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা। প্রত্যেক কৃষক একজন উদ্যোক্তা, জেলা পরিষদের প্রথম কাজ হচ্ছে সরকারি কাজগুলো পর্যালোচনা বা তদারকি করা। জেলা পরিষদ মনে করে সাংবাদিকদের সাথে সকল কাজ সম্পন্ন করা যাবে। যে কোন প্রয়োজনে জেলা পরিষদ সাংবাদিকদের পাশে আছে। আমরা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে জেলা পরিষদের পাশে থাকবে। আমাদের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুধু প্রতিশ্রæতি দেন না, তিনি তা বাস্তবায়নও করে থাকেন। আমরা জনকল্যাণ কাজগুলো করে যাচ্ছি এবং করবো। আমরা মানুষের সেবা নিশ্চিত করছি।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সিলেট কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাক্ষ জালাল চৌধুরী,, গিয়াসউদ্দিন মিলন, এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা ও আল ইমরান শোভন, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শওকত আলী, কোষাধ্যক্ষ তালহা জুবায়ের, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, , তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুনাওয়ার কানন, নির্বাহী সদস্য আলম পলাশ ও নেয়ামত হোসেন।
শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভার প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মজিবুর রহমান।