সিরাজগঞ্জে ধান ক্রয়-সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান ক্রয়-সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। তবে চাল সংগ্রহে কিছুটা অর্জিত হলেও ধান সংগ্রহে প্রায় শূন্য। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে এ জেলায় ২ হাজার ৭৫১ টন ধান এবং চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৯ হাজার ১৮২ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর এ পর্যন্ত ৯০ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা খাদ্য গুদামগুলোতে চাল সরবরাহে ২২৮ জন চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হন এবং গত দুই মাসে ৬ হাজার ৬১২ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ক্রয় সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ইং এবং চলতি মাসের ২৮ তারিখে এ ক্রয় অভিযান শেষ হবে।

সরকার প্রতি কেজি ধানের মূল্য ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আমন চালের মূল্য ৪৪ টাকা করে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার খাদ্য গুদামগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্ধারিত তারিখ থেকে ধান ও চাল ক্রয় সংগ্রহ শুরু করে। এ জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ১ কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি এবং বাকি চারটি খাদ্য গুদামে মাত্র ৯০ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন,  কৃষকরা প্রতি মণ ধান বিক্রি করছেন ১২’শ থেকে সাড়ে ১২’শ টাকায় এবং বাজারে মূল্য বেশি থাকায় আর সরকার নির্ধারিত মূল্য কম হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া অনেক চালকল মালিক বলছেন, বাজারে সব কিছুর দাম বেড়ে গেলেও চালের দাম তেমন বাড়েনি। এজন্য লোকসান লাইসেন্স রক্ষার্থে লোকসান গুনে বাধ্য হয়ে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে গুদামে।

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলছেন, চাল ক্রয় সংগ্রহে কিছুটা সম্ভব হলেও ধান ক্রয় অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা এখন অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। সরকারি নির্ধারিত মূল্যর চেয়ে খোলাবাজারে ধানের দাম এখন বেশি থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ধান ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।