ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক আনোয়ার

রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক আনোয়ার

হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক আনোয়ার হোসেন। বাহারি জাতের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন

তিনি। প্রতিদিনই তার এখানে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছে মানুষ। আকারে সাধারণ সাদা ফুলকপির চেয়ে আলাদা ও দামেও বেশি এসব ফুলকপি থেকে লাভবানও হচ্ছেন তিনি।কৃষক আনোয়ার হোসেন ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের পশ্চিম সমনিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

গত বছরের অক্টোবর মাসে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান নয়নের পরামর্শ ও সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় রঙিন ১১০০ চারা গাছ এনে ৩০ শতক জমিতে রোপণ করেন।বাজারে যেখানে সাধারণ ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয় সেখানে বাগান থেকেই আমি রঙিন ফুলকপিগুলো ৬০ থেকে ৭০ টাকা দাম পাচ্ছি জানিয়ে কৃষক আনোয়ার বলেন, ‘৩০ শতক জমিতে দুই রকমের ফুলকপি চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকার মতো। এই কপি চাষে পরিশ্রম কম বলে নিজেই চাষ করেছি। আশা করছি ৫০ থেকে ৬০ হাজার

টাকার মতো ফুলকপি বিক্রি করতে পারব। আমার জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখে এলাকার কৃষকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আমার সাথে অনেকেই যোগাযোগ করছেন, আগামী বছর বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’ চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যেই কপি বিক্রি করা যায়। প্রতিটি কপি ফুল হওয়ার ৭ দিনের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। একেকটি কপির ওজন হয় ১ থেকে দেড় কেজি। পরিবেশ বান্ধব জৈব সার ব্যবহার করেই কপির ফলন বৃদ্ধি করা যায়। ফলে উৎপাদন খরচ একদম কম।

হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথমবার কৃষক আনোয়ার হোসেন বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন।

উনার দেখাদেখি এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝেও রঙিন ফুলকপি চাষে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

ফুলকপি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত