নিখোঁজের চার দিন পর উদ্ধার

হতাশায় নির্জনে বিসিএস ক্যাডার হ্যাপী

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

পছন্দের পদে বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়াসহ নানা হতাশায় ভোগছিলেন ৪১ তম বিসিএস ক্যাডারের সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদা আক্তার হ্যাপী। তাই কাউকে না জানিয়ে নির্জনে গিয়ে সময় কাটান বলে দাবি করেছেন তিনি। নিখোঁজের চার দিন পর উদ্ধার হওয়া মাহমুদা আক্তার হ্যাপী পুলিশের কাছে এই দাবি করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। 

তাঁর দেয়া তথ্য মতে, তাঁকে বনবিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা।

সূত্র মতে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে বিসিএস এর নারী ক্যাডার মাহমুদা আক্তার হ্যাপী (৩১) নিখোঁজ হন। নিখোঁজের চারদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে  কক্সবাজার শহরের একটি কটেজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি ওসমান গনি জানিয়েছেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে ৭১ জনের পর্যটকের একটি দল টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়। সেখানে মাহমুদা আক্তার হ্যাপীও ছিলেন। তারা দ্বীপটির হোটেল সি ভিউসহ কয়েকটি রিসোর্টে উঠেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে  মাহমুদা আক্তার হ্যাপী বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে রিসোর্ট থেকে বের হন। বিকাল পর্যন্ত তিনি ফিরে রিসোর্টে ফিরেননি। পরে রিসোর্টের সঙ্গীরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বন্ধুর সঙ্গে আছেন বলে তথ্য দেন। কিন্তু এর ঘন্টাখানেক পর তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে নিখোঁজ নারী পর্যটকের সঙ্গে রিসোর্টের কক্ষে অবস্থানকারি বান্ধবী সুমা খানম টেকনাফ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন।

ওসমান গনি আরো বলেন, এর সূত্র ধরে হ্যাপীর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি ট্র্যাকিং করে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার এআর কটেজ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার মাহমুদা বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, ওইদিন হ্যাপী সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতে গোসল করতে নেমেছিলেন। পানিতে ভেসে গেলে কিছু জেলে তাকে উদ্ধার করে শাহপরীর দ্বীপ  নিয়ে যায়। পড়ে সেখান থেকে একটি টমটম যোগে টেকনাফ হয়ে কক্সবাজার চলে আসেন। মুলত হ্যাপী বিসিএস ক্যাডারে বন বিভাগের দেয়া তার পছন্দ হয়নি। প্রশাসনে তার ইচ্ছা থাকলেও সেখানে না হওয়ায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। ছাত্রী হিসেবে মেধাবী ছিলেন। তাই কক্সবাজার শহরে ফিরে তিনি কটেজে অবস্থান নিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে। 

পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর  করার প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।