ঢাকা ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আগামীকাল আখেরী মোনাজাত

খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ৬০ তম ওরস শরিফের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত

খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ৬০ তম ওরস শরিফের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত

সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গওছে জামান আরেফ বিল্লাহ শাহ্ সুফী আলহাজ্জ খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লা (র.)এর তিন দিন ব্যাপি ৬০ তম বার্ষিক ওরস শরিফের দ্বিতীয় দিন (১০ ফেব্রুয়ারী) শনিবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মিয় ভাব গাম্ভীর্য পূর্ণ পরিবেশে অতিবাহিত হয়েছে।

ওরস শরিফ কে ঘিরে দেশ—বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত অনুসারি, আহছান প্রেমিকগণ নলতা শরীফে অবস্থান করছেন।

পবিত্র ওরস শরিফের প্রথম দিন শুক্রবার বাদ মাগরিব থেকে মাহফিল ময়দানে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে ইঞ্জিনিয়ার এ এফ এম গোলাম সরফুদ্দীন(সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা আহ্্ছানিয়া মিশন) এর সভাপতিত্বে কোরআন তেলায়াত করেন মৌলভী আব্দুল হাকিম, পরে বক্তব্য রাখেন মাওঃ মোঃ রমিজ উদ্দীন, (অধ্যক্ষ নলতা আহ্্ছানিয়া মিশন)ফাজিল মাদ্রাসা, ইকবাল মাসুদ (কার্যনির্বাহী সদস্য, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্্ছানিয়া মিশন)। পরে দ্বিতীয় পর্বে আলহাজ্জ ড. আবু তৈয়ব আবু আহম্মদ(আজীবন সদস্য, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্্ছানিয়া মিশন), এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্জ মাওঃ আবু সাঈদ জিহাদী,(মুফাচ্ছির ও মুহাদ্দিস ও খতিব নলতা শরিফ শাহী জামে মসজিদ), মোঃ মনিরুল ইসলাম (পরিচালক, খান বাহাদুর আহ্্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট)। তৃতীয় পর্বে আলহাজ্জ এ এফ এম এনামুল হক (মহা পরিচালক, খান বাহাদুর আহ্্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট)। এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মাদ সাইফুল আজম আজহারী,(খতিব ও পরিচালক, নথব্রংকস ইসলামিক সেন্টার, নিউওয়ার্ক)। তিনি বলেন আল্লাহ সকল মুমিনের ওলি, সকল মুমিন আল্লাহর ওলি, ওলি শব্দ বেলায়েত থেকে এসেছে। তিনি বলেন মানুষ আল্লাহ কে কাঁধে রেখে মিথ্যা—জুলুম সহ অরাজকতা করে চলেছে। কারণ হচ্ছে নফস্্, নফস্্ আমাকে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কাল করতে দিচ্ছে না। আল্লাহ বলেন, মোমিন তারাই সফল হয়েছে যাদের নামাজের মধ্যে খুশু আছে। নামাজে খুশু ভাব আসলে মোমিন হয়ে যায়। তিনি বলেন তরিকত ও শরিয়তের খাদেমদের পৃথক করা যাবে না। খাশেইন—মুত্তাকিন কিভাবে হয়, তাকওয়া অর্জন কিভাবে হয়—তা আল্লাহর ওলিরাই জানেন। মুত্তাকিন না হয়ে থাকলে আল্লাহ মুক্তাকিনদের সাথে থাকতে বলেছেন। আল্লাহর ওলিদের নজর যে ব্যক্তির উপরে পড়েছে সে ব্যক্তি মদিনা মুখী হয়ে গেছে। নবুয়াত কে বুঝতে হলে কুদরতের কাছে যেতে হবে। পরে আলহাজ্জ মাওলানা মোহাম্মাদ আবু সাঈদ জিহাদীর সভাপতিত্বে আরও বক্ত্য রাখেন মুফতি মাওঃ মুহাম্মদ ওসমান গণি সালেহী (প্রধান মুফতী, দারুল নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা ও খতিব শহীদ পার্ক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ঢাকা)। তিনি ইলমে তাসাউফের প্রয়োজনীয়তা ও হজরত খানবাহাদুর আহ্্ছানউল্লা (র.) দর্শন সম্পর্কে আলোচনা পেশ করেন। রাত ৪টায় আলহাজ্জ ডাঃ মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওঃ মোঃ কামরুজ্জামান (পারুলিয়া)।

পাক রওজা শরিফে অনুষ্ঠান—৬০তম ওরস শরিফ উপলক্ষ্যে ২য় দিনে (১০ ফেব্রুয়ারী) শনিবার সকালে বাদ ফজর হইতে সকাল ১০টা পর্যন্ত পাক রওজা শরিফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপত্তিব করেন আলহাজ্জ ড. কাজী আলী আজম (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ সম্পাদক নলতা কেন্দ্রীয় আহ্্ছানিয়া মিশন), তেলাওয়াতে কোরআন আশিকুর রহমান, মিলাদ শরিফ ও ফাতেহা পাঠ করেন আলহাজ্জ হজরত মাওঃ মুফতি শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী (সহকারী অধ্যাপক আহছানিয়া ইন্সটিটিউ অফ সুফীজম, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ঢাকা)। হামদ, নাত এ রসুল ও মুর্শিদী মোঃ আবু হোসেন, মোঃ কামরুল ইসলাম, এহছানুল করিম কাজল, মোঃ ফখরুল হোসেন ও আনিছুর রহমান। ভক্তের পত্র থেকে পাঠ করেন মোঃ সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল(নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও সাবেক অতিঃ সচিব, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)। আলোচনা পেশ করেন আলহাজ্জ ড. আবু তৈয়ব আবু আহম্মেদ, (সহ সভাপতি ঢাকা, আহছানিয়া মিশন), তিনি হজরত হাফেজ ওয়ারেছ আলী শাহ পাক (র.) এর জীবনাদর্শ আলোচনা করেন। বক্তব্য রাখেন মোঃ শফিকুল আনোয়ার রঞ্জু, (কার্যনির্বাহী সদস্য, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্্ছানিয়া মিশন), চৌধুরী রাশেদ আহমেদ, (চট্টগ্রাম আহছানিয়া মিশন), তিনি পীর কেবলা (র.) কর্মজীবনে দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামে অবস্থান কালে বিভিন্ন কর্মকান্ডের উপর আলোক পাত করেন। বক্তব্য রাখেন খালেদ আহমেদ (গফুর শাহ মিশন,পাটনা, ভারত) ও মাওলানা মুহাম্মাদ সাইফুল আজম আজহারী(খতিব ও পরিচালক, নথব্রংকস ইসলামিক সেন্টার, নিউওয়ার্ক)।

শেজরা শরিফ পাঠ ও মোনাজাত করেন আলহাজ্জ সানোয়ার হোসেন (গাজীপুর আহ্্ছানিয়া মিশন), পরে দুপুর ১২টায় পাক রওজা শরিফে চাদর পেশ করা হয়। এদিকে দ্বিতীয় দিনে মাহফিল ময়দানে প্রথম পর্বে বাদ আছর থেকে হাফেজ মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন ক্বারী মোঃ সামছুর রহমান (কলিযোগা বায়তুন জামে মসজিদ), মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম ও হাফেজ মুফতি মোমিনুর রহমান(ভারত)। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাহফিল ময়দানে দ্বিতীয় দিনের বয়ান চলমান ছিল। আগামীকাল ১১ ফেব্রুয়ারী আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিন ব্যাপী পবিত্র ওরস শরিফ শেষ হবে।

ওরস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত