কক্সবাজারের রামুতে অগ্নিকান্ডে ১৩ টি বসত বাড়ি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার রাতে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়া গ্রামে এ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়।
জানা গেছে, একটি বসত বাড়ির রান্না ঘর থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে তা মূহুর্তেই আশেপাশের বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রামু ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এসময়
মৃত ছিদ্দিক আহমদের স্ত্রী কুলসুমা আকতার, মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মামুনুর রশিদ, মৃত নুর আহমদের ছেলে হারুন অর রশিদ ও আবদুল্লাহ, মৃত সুলতান আহমদের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, আবদুল মান্নান, লোকমান হাকিম ও শাহীন ইমরান সোহেল, মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে আবদুল গফুর, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে ছালেহ আহমদ, জাকের আহমদের ছেলে আবদুস সালাম, মনজুর আলম ও মৃত বদরুজ্জামানের ছেলে শামসুল আলম বসতঘর পুড়ে যায়।
রামু ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতা বেশী ছিলো। এরপরও ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক দল দ্রুতসময়ে এসে ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি জানিয়েছেন, এ অগ্নিকান্ডে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের ব্যক্তিগত সহকারি আবু বক্কর জানিয়েছেন, অগ্নিকান্ডে ১৩ টি বাড়ি পুরোপুরি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ঢাকায় অবস্থান করলে এ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। এছাড়া রাতে ক্ষতিগ্রস্তদের খাওয়া-দাওয়া ও কম্বলসহ পরিধেয় বস্ত্র দিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার। এছাড়া রামু থানা পুলিশ ও বিজিবি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন।
অপরদিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরী ভাবে রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। রোববার রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ত্রান শাখা থেকে জরুরী ভিত্তিতে কম্বল এবং খাদ্য সহায়তা দেন ইউএনও রামু (ভারপ্রাপ্ত) নিরুপম মজুমদার।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। রামু উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি ও বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। উল্লেখ্য যতদিন পর্যন্ত তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা হবে না ততদিন পর্যন্ত তারা হুইপ কমলের বাসায় থাকবে বলে জানা গেছে।