দিনাজপুরে রমজানের আগেই বাড়ছে পেয়াঁজের দাম 

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  বীরগঞ্জ ( দিনাজপুর) প্রতিনিধি

রোজা শুরু হতে এখনো এক মাস বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। যদিও মাত্রই উৎপাদন মৌসুম শেষ হওয়া পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোন কারণই বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।   

দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। যদিও কিছু দোকানে ৯৫ টাকাতেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। সপ্তাহখানেক আগেও এই দাম ছিল ৭০-৭৫ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও এক মাসের ব্যবধানে ২৫ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দিনাজপুর বাহাদুর বাজারের দেশি পেঁয়াজের আড়তদাররা  বলেন, 'স্থানীয় মহাজনরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। যে কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।' 

দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় খুচরা ও পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের কোন প্রকার ঘাটতি নেই বলে জানা গেছে।

ভোক্তারা জানান, এবারে ব্যবসায়ীরা হয়তো কৌশল পরিবর্তন করেছে। রোজার সময় অনেক আলোচনা হয় বলে আগেভাগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। 

বীরগঞ্জে কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসে বেসরকারী চাকরিজীবি রহিমুল বলেন, 'রোজা এখনো অনেক দেরি। অথচ চিনি, তেল, পেঁয়াজ, মুরগি, ডাল সবকিছুর দামই চড়া'।

ডাল-তেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুরগির চড়া দাম। সাধারণ মানুষ ব্রয়লার মুরগির ওপর নির্ভর করবে তারও সুযোগ কমে আসছে। কারণ প্রতি কেজি মুরগির দাম এখন ১৫৫-১৬০ টাকা। যা মাসখানেক আগেও ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রভাবে দেশের বাজারে তেলের দামে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই অস্থিরতা ঠেকাতে গত মাসের মাঝামাঝিতে সরকার সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে দাম অনুযায়ী বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা লিটার ও খোলা সয়াবিন ১৭০ টাকা কেজি  দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকায়।

জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে তেলের দাম আরো এক দফা বাড়বে। সরকারকে এখন চেষ্টা করতে হবে পণ্যগুলোর দ্রুত সরবরাহ বাড়ানো। তাহলে হয়তো বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। না হলে ভোক্তাদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে।