ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক কর্মশালা

ঈশ্বরদীতে আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক কর্মশালা

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনকভাবে আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক" মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) ঈশ্বরদীর আয়োজনে এবং আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়নে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার সময় সিসিডিবি অফিস সংলগ্ন পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামে এই মাঠ দিবস উপলক্ষে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএসারআই'র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড.মো.আবু তাহের সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বিএসআরআই'র মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী।

আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসআরআইয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ। বিভিন্ন বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলেন, আখের সাথে আমরা মসুর, ভুট্টা, সরিষা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পিঁয়াজ, রশুন, আদা, টমেটো ইত্যাদি চাষ করতে পারি। এতে করে আপনাদের লাভের পরিমাণটা বেশি হবে। পরিকল্পনা করে আখ চাষ করুন। তার সাথে ডাল, সবজি-মসলা জাতীয় ফসল চাষ করুন। এতে আপনারা অধিক লাভবান হবেন নিশ্চিতভাবেই। সবাই একই ফসলের চাষ না করে পরিকল্পনা মাফিক আখের সাথে ভিন্ন ভিন্ন সাথী ফসলের চাষ করবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঊর্ধ্বতম বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম রেজাউল করিম এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বি এস আর আইয়ের পরিচালক ( টিওটি) ড. মোছা: ইসমাৎ আরা, নাটোরের নথ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: খবির উদ্দিন মোল্লা , বিএসআরআই'র প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: রহিমুল আলম, বিএসআরআই মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান কীটতত্ত্ব বিভাগ ড. মো: আতাউর রহমান, বিএসআরআই মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান প্রজনন বিভাগ ড. মো: আনিছুর রহমান, বিএসআরআই প্রধান শরীরতত্ব বিভাগ ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোছা : কোহিনূর বেগম, বিএসআরআই প্রধান প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিভাগ মো: হাসিবুর রহমানসহ সাথী ফসলসহ আখচাষী মো: আব্দুল মান্নান মকুল মেম্বর, খাইরুল বাশার , প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ।

সোমবার প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকরা আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে মসলা জাতীয় (পেঁয়াজ, রসুন), সবজি জাতীয় ফসল (আলু, টমেটো) এবং ডাল জাতীয় ফসল (মসুর, ছোলা, মটরশুঁটি) চাষাবাদ করছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আখের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সাথীফসল চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।

তারা জানান, প্রতিবিঘা জমি থেকে আখের সাথে মসলা জাতীয় (পেঁয়াজ) সাথীফসল চাষাবাদ করে ৪৫-৫০ হাজার টাকা, সবজি জাতীয় ফসল (আলু) থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করছে।

এছাড়াও ২য় সাথী ফসল মুগডাল থেকেও বিঘা প্রতি ৮০-১০০ কেজি মুগ ডাল উৎপাদন করছে। ১ম ও ২য় সাথীফসল উত্তোলনের পর আখ থেকে কৃষকরা ৭০-৮০ হাজার টাকার আখ বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমি থেকে কৃষকরা ১-১.৫ লক্ষ টাকা মুনাফা করছে বলে জানান।

মোট ৮০ জন আখচাষী মাঠদিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সবাইকে নিয়ে ইউনিটের অধীন সাথীফসলসহ আখেরমাঠ পরিদর্শন করেন প্রকল্প পরিচালকসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

আধুনিক,চাষাবাদ,আখ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত