ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাদারীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো প্রতিবন্ধী কাঞ্চনের মুদি দোকান

মাদারীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো প্রতিবন্ধী কাঞ্চনের মুদি দোকান

মাদারীপুরের ডাসারে প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চনের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ছিলো তার মুদি দোকান। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ডাসার উপজেলার সৈয়দ আতাহার আলী এবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন ডাসার উপজেলার বেতবাড়ী গ্রামের সৈয়দ সোহরাব হোসেনের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত ১১টার দিকে ডাসার উপজেলার সৈয়দ আতাহার আলী এবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিভাতে আসলেও ততক্ষনে দোকানটি পুড়ে নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোকান করে দুই মেয়ে স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চালান প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন। দোকান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পাগল প্রায় তিনি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন কান্না জড়িত কন্ঠে আলোকিত বাংলাদেশকে জানায়, আমি ধারদেনা ও লোন করে একটি মুদি দোকান দেই। এই দোকানের আয় দিয়ে সংসার চলে।প্রতিদিনের মত রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই।কিছুক্ষন পরে শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।দোকান হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহরিয়ার তুহিন মৃধা জানান, সৈয়দ কাঞ্চন ছোট বেলায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার পা দুটি পারালাইসিস হয়ে যায়। এতে করে একা চলাফেরা করতে পারেনা। পরিবারের সাহায্য নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও তিনি ভিক্ষাবৃত্তি না করে ধার-দেনা করে দোকান দিয়ে চালান সংসার। দোকান পুড়ে ছাই হয়ে অসহায় পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হবে।

ডাসার প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম বলেন, লোন করে দোকানটি দিয়েছিলো তিনি।উপার্জনের একটি মাত্র সম্বল দোকান তাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা। সকলকে সাহায্য সহযোগিতা করে পরিবারটির পাশে থাকার আহবান জানাই।

এব্যাপারে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন, আমি ইতিমধ্যে সৈয়দ কাঞ্চনের দেকান পুড়ে যাওয়ার স্থান পরিদর্শন করছি। অসহায় এই পরিবারটিকে উপজেলা পরিষদ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

মাদারীপুর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত