বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের কোমরে রশি

ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যাখা প্রদানের নির্দেশ

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক পড়ুয়া এক ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) তিনজনকে আগামী দুই দিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইন এ নির্দেশ দেন। 

ওসি ছাড়া অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন কর্তব্যরত কর্মকর্তা এবং পেকুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রইস উদ্দিন।

সোমবার বিভিন্ন গনমাধ্যমে 'কোমরে রশি বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে আদালতে নেওয়ার’ ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  এরপর থেকে বিভিন্নস্তর থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠে।

জানা যায় , ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নাম হামিম মো. ফাহিম। তিনি চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকে পড়েন। তিনি পেকুয়ায় একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। গত শনিবার রাতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মারামারি মামলার পরোয়ানায় ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত রোববার পেকুয়া থানা-পুলিশের একটি দল কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করে। এ দিন আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ফাহিমের আইনজীবী মিজবাহ উদ্দীন বলেন, ফাহিমকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার সংবাদ  মঙ্গলবার আদালতের নজরে আনা হয়। আদালত এসময় দুই কর্মদিবসের মধ্যে পেকুয়া থানার ওসিসহ তিনজনকে আইনানুগ ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন। 

আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন, শুনানীকালে আসামীপক্ষের বিজ্ঞ কৌসুলী আলোচ্য আসামীর গ্রেপ্তার পরবর্তী সময়ে আসামীর পাশে দাঁড়ানো পুলিশসহ আসামীর হাতে হ্যান্ডকাপ ও কোমরের কিয়দংশ উর্দ্ধে রশি দিয়ে বাঁধা স্থির চিত্র সম্বলিত সংবাদ প্রকাশের একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মূল কপি আদালতে দাখিল পূর্বক গ্রেপ্তারকৃত আসামীর কোমরের কিয়দংশ উর্দ্ধে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়ে আদালতের কাছে আইনানুগ আদেশ প্রার্থনা করেন। এমতাবস্থায় অত্র মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মূলে ধৃত আসামীর কোমরের কিয়দংশ উর্দ্ধে রশি দিয়ে বাঁধা-র বিষয়ে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য অফিসার ইনচার্জ, কর্তব্যরত অফিসার ও এএসআই রইস উদ্দিনকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) লুৎফর রহমান আদেশের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'আসামির কোমরের কিয়দংশ উর্দ্ধে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়ে ২  কর্মদিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও আসামিকে গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা এএসআই রইস উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।