সীতাকুণ্ডে এক সপ্তাহে দুই সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতি

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

  সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডাকাতি। বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন মূল অপরাধীরা। গত

সোমবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের উত্তর ইদিলপুর এলাকায় দৈনিক ইনকিলাবের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি শেখ সালাউদ্দিনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে সৈয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর ফেদাইনগর গ্রামে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাসান ফেরদৌসের বাড়ীসহ তিনটি বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পরের দিন বুধবার রাতে মহাসড়কে যানবাহন আটকে গাড়িতে হামলা চালিয়ে লুট করে ডাকাত দল। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারী সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আশু মন্ডলের বাড়ির আবদুল মান্নানের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীতাকুণ্ড এলাকার মানুষের মনে প্রশ্ন কখন মুক্তি পাওয়া যাবে ডাকাতির হাত থেকে। 

সাংবাদিক শেখ সালাউদ্দিন জানান, গত সোমবার  আনুমানিক রাত ০৩টার সময় ১২-১৪ জনের ডাকাত দল দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। রশি দিয়ে সবার হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় নগদ প্রায় দেড় লাখ টাকা, ৭-৮ ভরি স্বর্ন, ৫টি মোবাইল নিয়ে যায়। ডাকাতদলের আলাপ শুনে মনে হয়েছে তারা উত্তর বঙ্গের লোকজন। কিছু ডাকাতের মুখে মাস্ক এবং মাঙ্কি টুপি পড়া ছিল। এছাড়া হাফ প্যান্ট ও কোমরে গামছা বাঁধা ছিল। হাতে বড় বড় রাম দা, কোরা বারি, খুন্তি ছিল। ডাকাতির হামলায় তার মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর ও ভাই রাসেল আহত হয়। ডাকাতরা ঘরের সব কিছু তছনছ করে ফেলে। 

এদিকে গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতের ঘটনায় সৈয়দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোমিন জানান, ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসের বাড়ীতে প্রবেশ করে। সেখানে বাড়ীর কেয়ারটেকার মো. রফিক মিয়াকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের তালা ভেঙ্গে আলমিরা খুলে তান্ডব চালায়। সেখান থেকে ডাকাত দল একই গ্রামের মো. নাদেরুজ্জামান ও আমান উল্লাহর বাড়িতে হানা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। 

এছাড়া মহাসড়কে ডাকাতির শিকার হন মিরসরাইয়ের সেবা হাসপাতালের পরিচালক আব্দুর রহমান ঈশান। তিনি বলেন, আমি শহর থেকে মিরসরাই

যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ড উপজেলার টেরিয়াল এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ি। তারা সড়কের পাশে ঝোপ থেকে বের হয়ে গাড়ির সব গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। তারা আমার মিস্ত্রির কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে, গত ১ ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ জানান, ডাকাত দলের সবার মুখে মাস্ক এবং তারা হাফ প্যাট পড়া ছিল। এসময় তারা তিন ভরি সোনা এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয় যায়। গত দুই দিন আগে উপজেলার বাড়বকুণ্ডে রাতের কোনো একসময় পাহাড়ে থাকা হিন্দুদের ৫টি মন্দিরের বেশ কিছু মুর্তি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড সার্কেল এ বি এম নায়হানুল বারী বলেন, আমরা ডাকাতির ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর রয়েছি।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এপর্যন্ত বেশ কয়েকজন ডাকাত আটক হয়েছে।উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে ।