চার ঘন্টায় র‌্যাবের ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি গ্রেফতার 

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার আলোচিত ক্লুলেস আব্দুর রউফ (৫০) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হোতা হেলেনা বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকা থেকে হেলেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেফতার হেলেনা বেগম সাটুরিয়া উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার মৃত শামসুল হকের স্ত্রী। নিহত রউফ একই এলাকার মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে।

এ বিষয়ে বিকেল চারটায় সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী ও ভিকটিম পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় চার বছর পূর্বে হেলেনা বেগমের স্বামী শামসুল হক মারা যায়। এরপর হেলেনা বেগম সাটুরিয়া থানার নয়াডিঙ্গী এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরী নেয়। ভিকটিম রউফ গাছবাড়ী এলাকার একটি মুদি দোকান পরিচালনা করতো। হেলেনা বেগম গার্মেন্টসে যাওয়া আসার পথে মুদি দোকানদার রউফের দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতো। এ সূত্র ধরেই তাদের মাঝে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তাদের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও মনোমালিন্যে তৈরী হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেল থেকে রউফকে হত্যার পরিকল্পনা করে হেলেনা বেগম। পরিকল্পনা মাফিক সে রউফকে রাতে পার্শ্ববর্তী গাজিখালী নদীর পাড়ে আব্দুস সামাদ মিয়ার লেবু বাগানে আসতে বলে। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রউফ লেবু বাগানে আসে। এরপর হেলেনা বেগম পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘনিষ্ঠ হওয়ার মাঝে ভিকটিমের কালো রঙের শীতবস্ত্র দিয়ে মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ ঘরে এসে রাত্রিযাপন করে।

লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহটি দেখে সাটুরিয়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মৃতদেহ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তি ও ঘটনাস্থলে থাকা পারিপার্শ্বিক আলামত এবং তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত হেলেনা বেগমকে সাটুরিয়া থানার নয়াডিঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত হেলেনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।