ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দিনাজপুরে শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে বোরে ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষকেরা

দিনাজপুরে শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে বোরে ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষকেরা

দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে ইরি-বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা। ভোর হতেই শীতল ঠাণ্ডা পানিতে নেমে বোরো ধানের বীজ তুলে সেই বীজ জমিতে রোপণ করছেন কৃষক। পাশাপাশি বোরো চাষের জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে জমি। ভোর রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বোরো জমি প্রস্তুত করতে হাল চাষ করছেন কৃষক। আগাম আলু উত্তোলনের পর ওই জমিতে রোপনের হিড়িক পড়েছে। তাই ইরি-বোরো রোপন নিয়ে যেন চলছে গ্রামে গ্রামে উৎসবের আমেজ। ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক-কৃষাণিদের। সেইসব জমিতে চাষ করা হচ্ছে ইরি-বোরো ধান। তবে যারা আলু চাষ করেননি, তাঁরা আগাম সেইসব জমিতে এখনই নেমে পড়েছেন বোরো রোপনে। ইরি বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রীড ও উফসী জাতের ধান বেশী আবাদ হয়।

এছাড়াও হিরা-১, হিরা-২, সোনার বাংলা, বি-ধান ২৮, ব্রী-২৯, ব্রী-৮১, ব্রী-৭৪, ব্রী-৮৯সহ স্থানীয় জাতের কিছু ধান চাষ হচ্ছে। দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরে চাষাবাদের লক্ষ মাএা নির্ধারন করা হয়েছে ১লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। চারায় কৃষক দেখছেন আগামীর রঙিন স্বপ্ন। চারা বড় হবে, ফসলে ভরে উঠবে তাদের গোলা।

কৃষকরা বলছেন, আগাম চারা রোপন করায় ক্ষেতে ফসল ভালো উৎপাদন হয়। আর সারি সারি করে রোপন করার ফলে পরিচর্যায় স্বস্থি মিলে। এছাড়াও ক্ষেতে রোগবালাই কম হওয়ায় অন্যান্য ফসল থেকে শতকরা ২০ভাগ উৎপাদন বেশি হয়। কৃষকরা বলেন, বীজ, সার সবকিছুর দাম বেশি। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। সার ও বীজের দাম সহনীয় হলে ধান চাষ করে আরও লাভ পাওয়া যেত। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার মধ্যে সময় মতো চারা রোপন করতে না পারলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে না। তাই চারা রোপন শুরু করা হয়েছে।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসরারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় কৃষকেরা বেশ স্বস্থিতে রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধান,কৃষক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত