ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন হলে কৃষরা আরো লাভবান হত

হাতীবান্ধার তিস্তারচরে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, ছাড়িয়ে যেতে পারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

হাতীবান্ধার তিস্তারচরে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, ছাড়িয়ে যেতে পারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

তিস্তা নদী কৃষকের জন্য কখনো হয় অভিশাপ আবার কখনো হয় আর্শিবাদ। তিস্তার চরঅঞ্চল বর্তমানে যেন আর্শিবাদে পরিণত হয়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তার চরঅঞ্চলে সবুজে ছেয়ে গেছে মাঠ। ভুট্টার ফুলে বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। একমাত্র ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনে দিতে হয় সেচ, তবুও রয়েছে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ছারিয়ে যেতে পারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।

ভুট্টা চাষে সেচের পানিসহ খরচ কম লাগে উৎপাদন বেশি হয়। উঁচু-নিচু দোলা জমিতে লাগানো ভুট্টার সবুজ রঙের গাছগুলো দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি হওয়াতে বর্তমানে চর অঞ্চলের প্রধান অর্থকারী ফসল হচ্ছে ভুট্টা। প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হলে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, গত বছরের চেয়ে এবছরে ভুট্টার চাষ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার চরঅঞ্চলে ৬টি ইউনিয়নে ১৮৯৭ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ভুট্টা। ছারিয়ে যেতে পারে ভুট্টার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টার ফলন হয় ৪০ থেকে ৪৫ মণ। ধানের চেয়ে খরচ কম করে দ্বিগুণ ভুট্টা উৎপাদন করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে ব্যয় হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এতে চর অঞ্চলের কৃষকগণ অর্থনীতিক ভাবে অনেক স্বাবলম্বী। ভুট্টার চাষাবাদ যখন ছিলনা তখন খুব দরিদ্র অবস্থা ছিল। কৃষকগণ আশা করছেন এবছর ভুট্টার ভাল ফলন হবে। ভুট্টা ঘড়ে তোলার সময় পর্যন্ত আবহাওয়া ও বাজার মুল্য ভাল থাকলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে থাকতে পারবে তারা।

তিস্তার চরের কৃষকগণ বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে ব্যয় হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এতে আমাদের অনেক উন্নত হয়েছে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাইতে পারছি। ভুট্টার আবাদ যখন ছিলনা তখন আমাদের খুব দরিদ্র অবস্থা ছিল।

পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত বলেন, চরঅঞ্চলে যেখানে তাকাবেন শুধু সবুজে ঘেরা দেখতে পাবেন, চরের লোক আজকে আবাদে স্বয়ংসম্পুর্ণ হয়ে যে ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায় হলে এলাকায় কোন অভাব থাকবেনা। উচ্চ ফলনশীল হিসেবে যেভাবে ফলন পাই এটাই আমাদের ভাগ্যও পরিবর্তন করে দিয়েছে। ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, রড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলো যদি এখানে সাইলো স্থাপন করত ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করত তাহলে কৃষরা আরো লাভবান হত।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, ভুট্টা এই এলাকার প্রধান ফসল রবি মৌসমে, হাতীবান্ধা উপজেলায় এবারের লক্ষ্য মাত্র প্রায় ১৪ হাজার ২ শত ২০ হেক্টর। এ এলাকার মানুষ ভুট্টার উপর নির্ভরশীল।

ভুট্টার বাম্পার ফলন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত