ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ সাংবাদিক আমিনুল চৌধুরী ছিলেন আপোষহীন সংগঠক’

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ সাংবাদিক আমিনুল চৌধুরী ছিলেন আপোষহীন সংগঠক’

সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের প্রবীণ সাংবাদিক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী একজন পেশাগত সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সংবাদ তৈরি করার পাশাপাশি অনেক সাংবাদিকও গড়েছেন এবং তিনি ছিলেন আপোষহীন সাংবাদিক ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা।

শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে তার স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা ও মজুরি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির জেলা ও কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন তুখর ছাত্রনেতা, আওয়ামীলীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে আমরা একজন প্রিয় মানুষকে হারিয়েছি। প্রেসক্লাবের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সাংবাদিক ইসরাইল হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় এ স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. কে. এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড বিমল কুমার দাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সোরহাব আলী সরকার, সাবেক কমান্ডার শফিকুল ইসলাম শফি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ রেজাউল করিম সুর্য, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রবিন, প্রয়াত আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী জগলু ও তার ছেলে সাম্য প্রমূখ। বক্তারা বলেন, তিনি দীর্ঘকাল দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকতার শেষ জীবন পর্যন্ত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান। সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে আমরা হারিয়েছি একজন সাংবাদিক অভিভাবককে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকা গ্রামের আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর সংগ্রামী জীবন শুরু ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে। সিরাজগঞ্জ কলেজছাত্র সংসদের আওয়ামী ছাত্রলীগের প্রথম জিএস নির্বাচিত হন তিনি। পরে ১৯৬৮-৬৯ সালে গঠিত নিউক্লিয়াসের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং সরাসরি সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছেন এবং এ যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন। স্বাধীনতার আগে ও পরে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন।

এ স্মরণ সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় বার্ধক্যজনিত কারণে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সিরাজগঞ্জ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত