চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে চাঁদা দাবীকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিক হামলা, ভাংচুর ও মূলবান জিনিসপত্র লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় থানা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আবেদন করেও ফলাফল না পেয়ে অবশেষে চাঁদপুর আদালতে ঘটনায় জড়িত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ পর্যটন কেন্দ্রটি দেশের একমাত্র মিঠা পানির বীচ হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান চাঁদপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নামীয় প্রধান আসামী হলেন মো. বোরহান খালাসীসহ ২৮জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫জন। এদের সকলের বাড়ী মোহনপুর এলাকায়।
এই প্রসঙ্গে কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ধারবাহিকভাবে চলতি মাসের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংঘবদ্ধ আসামীরা মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে প্রায় ৮০ লাখ টাকা মূল্যমানের জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিসাধন করে। এই প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় দুই শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান। স্থানীয়ভাবে কোন সহযোগিতা না পেয়ে আদালতে এসে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার যে কথা বলেছেন, আমরা সে আলোকে কাজ করে যাচ্ছি। এরকম ধারবাহিক হামলা অব্যাহত থাকলে এই প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমি প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এছাড়া শুরু থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম, হামলা, লুটপাটসহ পর্যটন কেন্দ্রের সকল ঘটনার বিবরণসহ চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের নিকট আজ ২০ ফেব্রুয়ারি আরেকটি আবেদন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন, এসব ঘটনা আমি অবগত। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গিয়ে কয়েকবার ব্যবস্থা নিয়েছে। পর্যটন কর্তৃপক্ষ ট্যুরিস্ট পুলিশ চেয়ে আবেদন করেছে। এটি কোম্পানী হওয়ার কারণে ট্যুরিস্ট পুলিশ দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।