ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

একুশের প্রথম প্রহরে সাভারে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

একুশের প্রথম প্রহরে সাভারে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস অমর ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ঢাকার সাভার উপজেলায় ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে সাভার উপজেলা পরিষদের স্বাধীনতা চত্বরে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এরপর সাভার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদ, সাভার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এস. এম. রাসেল ইসলাম নূর, আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আশরাফুল ইসলাম প্রমুখসহ অন্যরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

অত:পর সাভার উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পর্যায়ক্রমে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাভার মডেল থানা, আশুলিয়া থানা, র‍্যাব-৪, সাভার হাইওয়ে থানা, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সাভার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ ভাষা শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (একুশে ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ সমস্ত বাংলাভাষী অঞ্চলে পালিত একটি বিশেষ দিবস, যা ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এটি শহীদ দিবস হিসাবেও পরিচিত।

এ দিনটি বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। আজ থেকে ৭২ বছর আগে ১৯৫২ সালের এইদিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ ছাত্র শহীদ হন। যাঁদের মধ্যে রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত উল্লেখযোগ্য। এই কারণে এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।

এই দিনটিকে পরে জাতিসংঘ ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস‘ হিসেবে ঘোষণা করে। ২১শে ফেব্রুয়ারির ওই গুলিবর্ষণের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল, সেখানে গড়ে তোলা হয় শহীদ মিনার - যা এখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নামে পরিচিত এবং এই দিনটি উদযাপনের অনুষ্ঠানমালার কেন্দ্রবিন্দু। আজ সরকারি ছুটি। প্রতি বছরের মতো এবারো একুশে ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে সঠিক নিয়মে, সঠিক রঙ ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

এছাড়াও, দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

একুশে,শ্রদ্ধাঞ্জলি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত