সিরাজগঞ্জে ফসলি জমিতে পুকুর খনন থামছেই না

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের শষ্যভান্ডার খ্যাত তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন থামছেনা। দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ভেকু মেশিন দিয়ে এসব পুকুর খনন চলছে। এতে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শয্যভান্ডার খ্যাত ওই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৪১টি পুকুর খনন করা হয়েছে এবং আরো শতাধিক পুকুর খননের কার্যক্রমও চলছে। ফসলি জমিতে পুকুর খননে ইতিমধ্যেই আবাদি জমি কমেছে ১ হাজার ৯২১ হেক্টর। ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে পুকুর খনন করায় গত ১ মাসে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে ৮টি, ই-সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা করেছেন ১০টি ও ভুক্তভোগী কৃষকরা বাদি হয়ে ২টি মামলা করেছেন।

তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের ভূক্তভোগী কৃষকেরা বলেন, নওগাঁ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে ভেকু মেশিন দিয়ে। মাছ চাষে অধিক লাভের আশায় একটি মহলের ছত্রছায়ায় এসব পুকুর খনন করা হয়েছে ও হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শয্যভান্ডার খ্যাত তাড়াশ উপজেলার মাটি বেশ উর্বর। বিস্তীর্ণ এলাকার অধিকাংশ কৃষি জমিতে বছরে ৩/৪ বিভিন্ন জাতের ধান ও রবি শস্যের আবাদ হয়। এরপরেও কৃষকরা তাদের জমি কেটে পুকুর খনন করে নিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, মধ্যসত্বভোগী একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এ পুকুর খননে উৎসাহিত করছে। এতে এ অঞ্চলের ফসলি জমিও কমে যাচ্ছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হাসান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ফসলি জমি রক্ষার্থে পুকুর খনন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকজনকে জেল ও অর্থদণ্ড করা হয়েছে। তবে কারোর একার পক্ষে এ পুকুর খনন মহলকে নির্মূল করাও সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে কৃষকদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত এবং এ অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।