মানিকগঞ্জে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৯

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জে তিন প্রতিবন্ধীর বাবা ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুসকে (৫২) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টায় ঢাকার সবুজবাগ ও হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি ২ জনসহ মোট ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত কুদ্দুস সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের মৃত মিনাজ উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন বাঁশ ও কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন।

বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্স বিষয়টি নিশ্চিত করে বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার।

তিনি বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিংগাইরের চান্দহর ইউনিয়নের আটিপাড়া দেওয়ান বাড়ি মসজিদের সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুদ্দুসকে হত্যা করে আসামিরা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে কালাম (৪৫), ইউপি সদস্য গফুর (৪১), হাকিম আলীর ছেলে মিলন (৩২), কালামের ছেলে জুবায়ের (২২), সিরাজপুর এলাকার সামসুল হকের ছেলে মোখলেস (৩৮), ওমেদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৮), আবুল হোসেনের ছেলে আওয়াল (২৩)। এরআগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয় মঞ্জুরুল হক মঞ্জু (৩৮) ও বখতিয়ার হোসেন (৫১)।

মামলা ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। দু’দফার সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। ওইদিন সকালে সিরাজপুর হাটের উত্তর পাশে আবু কালামের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। এর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় আটিপাড়া মসজিদের সামনের পাকা রাস্তায় ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুসের উপর আবারও হামলা করে তারা। এ সময় তাদের এলোপাথাড়ি দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন কুদ্দুস। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর থানায় আবু কালামকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা অব্যহত আছে বলেও প্রেস কনফারেন্সে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার।