মানিকগঞ্জ পৌরসভার শহীদ স্বরণী রোড থেকে পেইন প্যারালাইসিস হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণের দুই মাস পার হতে-না-হতেই ভেঙে ধ্বসে চৌচির হয়ে গেছে।
জানা গেছে, বিটুমিনসহ মানসম্পন্ন উপকরন ব্যবহার না করায় রাস্তা নির্মাণকালীন সময়েই টেকসই নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠে। সিডিউল অনুযায়ী রাস্তার দু'পাশে গড়ে আড়াই ফিট মাটি ধরা থাকলেও বাস্তবে তা দেওয়া হয়নি। দায়সারাভাবে কিছু বস্তা ফেলেই মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও পাথরের গ্রেডিংয়ে মিল না থাকায় নির্মাণের সপ্তাহ পার হতে-না হতেই পাথর উঠে কয়েকটি জায়গায় ভেঙে ধ্বসে গিয়েছিল। পুরো রাস্তাটিই বর্তমানে ফেটে চৌচির হয়ে আছে।
রাস্তাটিতে রয়েছে, শহর সমাজসেবা কার্যালয় ও দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র, সিটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, মহিলা মাদরাসা এবং পেইন-প্যারালাইসিস স্পেশালাইজড এন্ড জেনারেল হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
নির্মাণের দুই মাসেই রাস্তায় এমন অবস্থা হওয়ায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এ অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ রাস্তা নির্মাণের সময়ই রাস্তার কাজের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর 'আলোকিত বাংলাদেশ' পত্রিকাসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় পৌরসভা।
নির্বাহী প্রকৌশলী আ.ন.ম গিয়াস উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কার্পেটিংএর কাজে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। স্পেসিফিকেশন মোতাবেক কার্পেটিং কাজের ত্রুটি সংশোধনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা করেনি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, এডিবির অর্থায়নে পৌরসভার শহীদ স্বরনী রোড থেকে পেইন প্যারালাইসিস হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হানিফ এন্ড রিকা (জেভি)। কাগজে কলমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর রনির নাম থাকলেও কাজটি বাস্তবায়ন করেছে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন।