মানিকগঞ্জে বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বিধবা নারী ফুলজান বেগম (৬০)।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ১১টার সময় সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফুলজান বেগম ওই এলাকার মৃত মারফত আলীর স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আর,এস ১৭ নং খতিয়ানের ৩৮০ দাগে ৩১ শতাংশ জায়গা ক্রয় সূত্রে প্রায় ৫১ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন ফুলজান বেগমের পরিবার। শুক্রবার সকাল ১১টার সময় পূর্বে কোনকিছু না জানিয়ে তিল্লি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ধলা, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন, ইমান আলী, জিন্নত আলী, ওহাব আলীসহ পাঁচ সাতজন ফুলজান বেগমের বাড়ির দক্ষিণ পাশের দোচালা টিনের বসত ঘর ভেঙে ফেলে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তারা জোরপূর্বক দখল করে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ওহাব আলীর কাছে দখল বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এসময় বিষয়টি ৯৯৯-এ ফোন করে জানালেও সাটুরিয়া থানা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
লিখিত অভিযোগে ফুলজান বেগম নিজেকে অসহায় ও দূর্বল উল্লেখ করে বলেন, আমি বিধবা হওয়ায় আমার লোকজন নাই। বিভিন্ন জনের কাছে ঘুরে কোন সঠিক বিচার না পেয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং তাদের বাহিনী আমাকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
৩নং ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা ঘর ভাঙি নাই, মিস্ত্রিরা ভেঙেছে। চেয়ারম্যান ডেকেছিল বলেই ওখানে গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে তিল্লি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ধলা বলেন, ওই জায়গা নিয়ে দু'পক্ষের ঝামেলা রয়েছে। যেকোনো সময় সংঘাত হতে পারে। ওটা সরকারি জায়গা। এজন্য লোকজন নিয়ে ওই জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার 'জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪' উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।