চট্রগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকায় এস আলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ টি ইউনিট একযোগে কাজ করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা কেউ জানাতে পারেনি।
জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে এস আলম সুগার মিলের একটি কারখানা রয়েছে। এ কারখানার গোডাউনে উৎপাদিত বেশকিছু চিনি রয়েছে। উৎপাদিত চিনি ছাড়াও কারখানায় লো-সুগার (চিনির কাঁচা মাল) রয়েছে। এ কারখানায় সোমবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে আগুনের লাগে। এ আগুন কারখানার চারিদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নৌ-বাহিনী, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম নগরী, পটিয়াসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত, সহকারী কমিশনার (ভুমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী ও কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সুগার মিলের স্টাফ মোহাম্মদ মনির জানিয়েছেন, সুপার মিলের ভিতরে ১ লাখ টনের উপরে উৎপাদিত চিনি ও চিনির কাঁচা মাল রয়েছে। এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের ৫ম তলায় আগুন লাগে। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে তা তিনি জানেন না। কারখানার চারিদিকে আগুন দ্রæত ছড়িয়ে পড়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছে বলে জানান।
কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শোয়েব হোসাইন মুন্সী জানান, এস আলম সুগার মিলে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ৬ টি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে গেলে পরে আরও ৬টি ইউনিট যুক্ত হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক জানান, ‘এস আলম সুগার মিলের গোডাউনে আগুন লেগেছে। কী কারণে আগুন লেগেছে, তা জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’