চিনি কারখানায় আগুন: ২৫ ঘন্টায়ও নেভানো সম্বব হয়নি
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
পটিয়া প্রতিনিধি
দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকায় চিনি কারখানার আগুন ২৪ ঘন্টায়ও নেভানোর সম্বব হয়নি। ভয়াবহ আগুনে কারখানার ভিতরে থাকা এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি (র সুগার) পুড়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকায় এস আলম সুগার মিলে আগুনের সূত্রপাত হলেও এখনো তা দাউ দাউ করে জ্বলছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, নৌ বাহিনীর ১২ সদস্যের ২টি টিম, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব-৭, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। তবে তদন্ত করতে একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শিল্পগ্রুপটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল আলম মাসুদ আগুন লাগা চিনি কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে’র জবাবে বলেন, পরিশোধিত চিনির মজুদ অক্ষত থাকায় দুই-এক দিনের মধ্যে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে সরবরাহ শুরু করা হবে। উৎপাদনে যেতে দুই-একদিন সময় লাগবে। আগুন নেভানোই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় এস আলম চিনি গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। অপরিশোধিত চিনি (র-সুগার) গুদামে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসহ ধাপে ধাপে ১২টি টিম কাজ চালায়। তবে কারখানার ভিতরে অপরিশোধিত প্রায় ১ লাখ মে:টন চিনি মজুদ থাকায় চিনির কার্বন ও অক্সিজেনের কারণে আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনার পর পরেই ফায়ার সার্ভিসের টিম স্থানীয় একটি পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ওই পুকুরের পানি ইতোমধ্যে সেচও হয়েছে। বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এস আলম চিনি কারখানাটির মধ্যে ৫টি গুদাম রয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
প্রত্যক্ষদর্শী পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর গোফরান রানা জানান, এস আলম চিনি কারখানায় আগুনের যে ভয়াবহতা তা না দেখলে বুঝা যাবে না। কোনভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আগুনে গলে যাচ্ছে অপরিশোধিত চিনি। পানির কারণে আগুন মাঝেমাঝে বন্ধ হলেও পরবর্তীতে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের ব্যবস্থাপক এডভোকেট এম হোছাইন রানা জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে তাদের চিনি কারখানায় যে আগুন লেগেছে তা নিয়ন্ত্রনে আনতে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহনী, কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ ১২টি টিম একযোগে কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসতে সময়ের দরকার।