টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্যাতিত এক নারীকে দেখতে এসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বুধবার সকালে হাসপাতালে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। নির্যাতিত ওই নারী রোগীর শয্যার পাশে এসে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুহুল আমীন মুকুলককে খুঁজতে থাকেন। বেশ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি না এলে পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফকালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বঙ্গবীরের কাছে হাজির হন।
এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, "এই হসপিটালটা হয়েছিল তখন আমরা বড় ছিলাম। আজকে যখন এই রোগীকে আমি দেখতে এসেছি হাসপাতালে এসে আমি ইউএইচওর ছায়াও দেখতে পেলাম না। এসময় ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজের উপস্থিতি বুঝাতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী তাকে ধমক দিয়ে বলেন, "আপনি কথা বলবেন না। আপনার জায়গানা এটা। আমি যাওয়ার পর আপনি বলেন। যত খুশি বলেন।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন,"সে (ইউএইচও) আমার মত একজন মানুষের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করতে পারেনি। রোগীর সাথে কি আচরণ করবে?
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুহুল আমিন মুকুল বলেন, বঙ্গবীর হাসপাতালে প্রবেশের সাথে সাথে আমি উপস্থিত হতে পারিনি। দুই এক মিনিট দেরি হয়েছে। পরবর্তীতে আমি সাথেই ছিলাম। হয়তো উনি আমাকে চিনতে পারেননি।
প্রসঙ্গতঃ গত ২ মার্চ বিচার চাইতে যাওয়ায় প্রতিবেশী এক নারীকে মারধর করেন বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। চেয়ারম্যানের মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর থেকে নির্যাতিত ওই নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার সকালে ওই নারীকে দেখতে এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে আসেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।