সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের মাসিক সভায় বন্দরে কাস্টমস হাউজ চালু, আমদানী বানিজ্যে বেনাপোল স্থলবন্দরের সাথে বৈষম্য নিরসন ও জিরো পয়েন্টে সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নামে চাঁদাবাজী বন্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
রোববার (১০মার্চ) সকালে আমদানী ও রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার বিকালে ভোমরা স্থল বন্দর আমদানী ও রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে মাসিক সভায় উল্লেখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আমদানী ও রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক অহিদুল ইসলামের সঞ্চলনায় আমদানী বানিজ্যে গতিশীল কাষ্টম্স হাউজ চালু ও জিরো পয়েন্টে চাঁদাবাজী বন্ধসহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বক্তব্য রাখেন, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, আক্তার হোসেন (পানি ডাক্তার), সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান, সহ-সভাপতি রিয়াজুল হক ও আবুল হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক কিনু বিশ^াস, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক জি. এম খোরশেদ আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পঙ্কজ দত্ত, প্রচার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনারুল ইসলাম আনার, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
সভায় অদ্য ০৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এস এম মাকছুদ খান স্বাক্ষরিত “আমদানী রপ্তানি কারক এ্যাসোসিয়েশন নামীয় নিবন্ধনহীন সংগঠন বন্দরকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র থেকে সকলকে সজাগ থাকার আহবান” শিরোনামে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি আমদানী রপ্তানি কারক এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়।
মাসিক সাধারন সভায় বক্তারা বলেন, ২০১৪-২০১৫ সালের আগে ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের কোন নিবন্ধন ছিল না। বর্তমানে শ্রম অধিদপ্তর দ্বারা নিবন্ধীত। যে কোন সংগঠনের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। যে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের ন্যায্য অধিকার আদায় ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সাংবিধানিক অধিকার।
সভায় বক্তারা বলেন, জিরো পয়েন্টের চাঁদাবাজীর অপকর্মটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এ ধরনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারন মানুষ তথা ভোমরা বন্দর ব্যবহার কারীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।