চাঁদপুরে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু হত্যায় যুবকের ১০ বছরের সাজা

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৯ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে সাদিয়া নামে বাকপ্রতিবন্ধী ১০ বছর বয়সী শিশুকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মো: সোহরাওয়ার্দী সালাউদ্দিন নামে যুবককে ১০ বছরের জন্য আটকাদেশ দিয়েছে,চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। 

এ ঘটনা ঘটেছিল, ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামে পাগলা সোবহান শাহ্ এর মাজারে। হত্যার শিকার শিশু সাদিয়া হচ্ছে, নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের করাইডা গ্রামের বড় বাড়ীর মো. ডিপটি মিয়ার মেয়ে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: আবদুল হান্নান এই রায় প্রদান করেন।

আটকাদেশ প্রাপ্ত ওই যুবক মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামের ফকির বাড়ীর মো: সহিদ ফকিরের ছেলে। 

এ মামলাটির রায়ের দ্বিতীয় পেরায় বিচারক লিখেন-অভিযুক্তের বয়স বর্তমানে ১৮ বছরের উর্দ্ধে হওয়ায় বর্ণিত আইনের ৩৪ (৫) ধারার বিধান মতে তাকে সাজা ভোগের নিমিত্তে সাজা পরোয়ানাসহ জেল সুপার, জেলা কারাগার, চাঁদপুর বরাবর প্রেরণ করা হোক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালে ডিপটি মিয়া তার মেয়েকে নিয়ে মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামের পাগলা সোবহান শাহ্ এর মাজারে আসেন। ডিপটি মিয়ার বাড়ি নারায়নগঞ্জে হলেও বদরপুর গ্রামে পাগলা সোবহান শাহ্ এ’ মাজারে ৫ থেকে ৬ মাস থাকেন। ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে তার মেয়ে বাপা পিঠা খেতে গিয়ে নিখোঁজ হন। 

একমাস পর অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত টয়লেটে অর্ধগলিত অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সাদিয়ার পিতা। সেখানে এসে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন পিতা। 

এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন ডিপটি মিয়া। এরপর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামী মো. সোহরাওয়ার্দী সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।

মামলটি তদন্ত শেষে মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আবু হানিফ ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামী মো. সোহরাওয়ার্দী সালাউদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, এই মামলায় আদালত ১০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর চলাকালীন সময় স্বাক্ষ্য প্রমাণ, মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামী তার অপরাধ শিকার করায় উপরোক্ত এই রায় দিয়েছেন বিচারক। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যডভোকেট বিল্লাল হোসেন।