সোমালিয়ার জলদস্যুর কাছে জিম্মি
নোয়াখালীর চাটখিলের সালেহ আহমদকে ফেরত চায় পরিবার
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৪২ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
সোমালিয়ায় দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশী মালিকানাধীন জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের মোহাম্মদ সালেহ আহমদ রয়েছেন। তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত ছিলেন। সালেহ ওই গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে।সে পরিবারে চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সরজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,অনেক উৎকণ্ঠার মধ্য রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান সহ পরিবারটি।
স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, বুধবার সকাল সাতটার দিকে অপহৃত সালেহ অজ্ঞাতনামা একটা ফোন থেকে কল করেন। এরপর প্রায় দুই মিনিট ধরে এই কলে তিনি তার জন্য দোয়া করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।
সালেহকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক সহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে। প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজটিতে উঠে নাবিকদের জিম্মি করে রেখেছে। এই ২৩ জন জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে দুই জনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে মো. আনোয়ারুল হক রাজুর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।
এদিকে, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর গ্রামের বাড়িতে এ খবর পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছে।
নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার জানান, রাজু গত সাত বছর ধরে জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করছে। গত বছর জুলাই মাসে সে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলো। সর্বশেষ চার মাস আগে সে পুনরায় জাহাজের কাজে যোগ দেয়।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের এডেন উপসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। তারা জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ছিল।