ঢাকার সাভারে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারীর ছেলে সিয়াম ও তার সহপাঠী রাজাকে কুপিয়ে জগম করার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। সাভার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাকী তিনজন হলো-মোহাম্মদ লতিফ (২০), আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহান খান (১৮) ও সিরাজুল ইসলাম (১৯)। আসামিদের মধ্যে লতিফ ও সিরাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কোপে জখম জিসান দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারীর ছেলে। সে ও রাজা উভয়ই সাভারের বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।
আহত জিসানের বাবা সাংবাদিক মতিউর রহমান ভান্ডারী বলেন, ‘গাজীপুরের সাফারি পার্কে এক মাস আগে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বনভোজনে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই সময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসে ওঠা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও কথাকাটাকাটি হয় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
‘পরে উপস্থিত শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িকভাবে সমাধান করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে জানানো হয় পরবর্তী সময়ে আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘ইফতার করে বন্ধু সিয়ামের সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় তার ছেলে জিসান সাভার রেডিও কলোনীতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২৫ থেকে ৩০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ছেলে জিসান ও তার বন্ধু সিয়ামের ওপর হামলা করে।' পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।’
জিসানের বাবা সাংবাদিক মতিউর রহমানের ধারণা, স্কুলের বনভোজনের বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটায়।
সাভার মডেল থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।