ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রোববার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আজম । এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং রবির একাডেমিক ভবন-৩ এ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রবির ভিসি বলেন, বাংলাদেশে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চিনছে তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে, আত্ম-অধিকার ও মুক্তি সংগ্রামের বিশ্ব-ইতিহাস পাঠের মধ্য দিয়ে। বিশ্বের নানা প্রান্তে তরুণরা আগ্রহী হয়ে উঠছে মানুষটিকে গভীরভাবে জানতে। আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে সপরিবারে তাঁকে হারায়। দেশি-বিদেশি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার কেবল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গই হয়েছেন তা নয়, অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল গোটা জাতি। লজ্জায় মাথা নত হয় প্রতিটি বাঙালির। বঙ্গবন্ধু চির অমর, বঙ্গবন্ধু আজও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দ্রোহের প্রতীক।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সনে শিশু অধিকার আইন প্রণয়ন করেন। জাতিসংঘ তার পনেরো বছর পর শিশু অধিকার বিষয়ে তার অঙ্গীকার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ‘শিশুদিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। যাতে করে শিশুদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। তিনি পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্যে ২০১৩ সালে নতুন করে শিশু আইন প্রবর্তন করেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিংবা যে সমস্ত শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে, যে সমস্ত শিশুরা স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ছে তাদের তিনি প্রণোদনা দিয়ে স্কুলগামী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার দায়িত্বটি গ্রহণ করেছেন। তার মানে বঙ্গবন্ধু, তাঁর কন্যা, কন্যার কন্যা সকলেই শিশুর প্রতি গুরুত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার অপর সন্তান, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা, সজীব ওয়াজেদ জয়ও গ্রামে-গঞ্জে শেখ রাসেল পাঠাগার, শেখ রাসেল আই.টি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের বিকাশের জন্য। তিনিও শিশু অধিকারের বিষয়টি মাথায় নিয়েছেন।

এ অনুষ্ঠানে রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,শিশুদিবস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত