যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার 

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আশুলিয়া প্রতিনিধি

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় যৌতুকের দাবীতে শিমু আক্তার ফারজানাকে (৩১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী মামলার প্রধান আসামী শহিদুল ইসলাম মীরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বিষয়িট নিশ্চিত করেন। এর আগে ভোরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

নিহত শিমু আক্তার ফারজানা জামালপুর জেলার বকসীগঞ্জ উপজেলার জহিরুল হকের মেয়ে। আশুলিয়ার জামগড়া দরগারপাড় মীর বাড়ির নজরুল ইসলাম মীরের ছেলে শহীদুল ইসলাম মীরের স্ত্রী ছিল। 

গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম মীর আশুলিয়ার জামগড়ার দরগারপাড় মীর বাড়ির নজরুল ইসলাম মীরের ছেলে। সে স্থানীয় ডং ব্যাং লিমিটেড নামের কারখানার পিকআপভ্যান চালক হিসেবে কাজ করতো। 

র‌্যাব-৪ জানায়, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবেই  শিমু আক্তার ফারজানার সাথে শহিদুল ইসলাম মীরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য শিমুকে মারধর করতো। যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় গত ৫ বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে উভয়ের পারস্পরিক সম্মতিতে পুনরায় তারা সংসার শুরু করে। তাদের আট বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় বার সংসার শুরু করার বেশকিছুদিন পর থেকেই পুনরায় যৌতুকের জন্য মারধর করে আসছিল শহীদুল। এরই সূত্র ধরে গত ১৯ মার্চ বিকালে যৌতুকের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শিমুকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করলে অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে শহিদুল ইসলাম নিজে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনার পর থেকে স্বামী শহিদুল ইসলাম পলাতক ছিল। 

র‌্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, ঘটনার পর থেকে শহিদুল ইসলামকে নজরে রাখা হয়। ভোরে জামগড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম মীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধু শিমু আক্তার ফারজানাকে কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে শহিদুল ইসলাম। পরে আইনগত ভাবে আসামীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।