মানিকগঞ্জে আলোচিত পিংকি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন, মূল আসামী গ্রেফতার
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ শিবালয়ে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস পিংকি আক্তার (২২) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ইয়াছিন হাসান হৃদয় (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে পিবিআই পুলিশ সুপার, এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার ইয়াসমিন হাসান হৃদয় শিবালয় উপজেলার উথুলি ইউনিয়নের বাড়াদিয়া গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, পিংকি আক্তার ও ইয়াসিন হাসান একই ক্লাসের পড়ার সুবাদে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে আসামীর সাথে একান্তে সময় কাটানোর জন্য প্রায়ই ভিকটিম পিংকি আক্তার ও আসামী হৃদয় সিনেমা হলে দেখা করে । এসময় ভিকটিম ও আসামীর মধ্যে পরস্পরের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হয়।পরবর্তীতে পিংকির পূর্বের বিয়ে ও ডিভোর্সের ঘটনা জানার পর সম্পর্কের অবনতি ঘটলে ইয়াসিন ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এর বিপরীতে পিংকি তাকে শারিরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
সর্বশেষ ঘটনার দিন (১৭ মার্চ) মানিকগঞ্জ থেকে শিবালয় যায় পিংকি। এসময় ইয়াসিনের সাথে দেখা করে চারটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ইয়াসিনের বাড়িতে গিয়ে সম্পর্কের কথা বলে দেওয়ার হুমকি দেয়। এতে বিচলিত হয়ে পড়ে ইয়াসিন। পরে পিংকিকে বুঝিয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে ইয়াসমিন। পথে সে কৌশলে পিংকির মোবাইল ফোন থেকে তাদের অন্তরঙ্গ ভিডিও-ছবি মুছে দেয়। বাড়ি ফিরে বিষয়টি দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পিংকি ইয়াসিনের কাছে ছুটে আসে। পরে বন্ধুর বাসায় নিয়ে যাবার কথা বলে রিকশায় করে পিংকিকে নিয়ে ঘুরতে থাকে ইয়াসিন। এক পর্যায়ে শিবালয় উপজেলার ইছাইল গ্রামের একটি আমবাগানের ভেতরে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পিবিআই পুলিশ সুপার, এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন , আসামীর সাথে ভিকটিমের কয়েক মাস যাবৎ পরিচয়। এরই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক এবং শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ভিকটিম বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করার ফলে মান সম্মানের ভয়ে ভিকটিমের ব্যাবহৃত হিজাব ব্যাবহার করে গলায় গিঠ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।