নাটোরে ১২০ টাকা খরচে পুলিশে চাকরি পেলেন ৪২ জন

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ১২০ টাকা খরচে পুলিশে চাকরি পেলেন ৪২ জন তরুণ-তরুণী। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া এই চাকরি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এসব তরুণ-তরুণীরা। এসময় চাকরি পাওয়ার আনন্দে অনেক তরুন-তরুণী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নাটোর পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম। এতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৩৬ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। এসময় চাকরিতে উত্তীর্ণদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নাটোর জেলা পুলিশ।

চাকরি পেয়ে আশিক পাহান বলেন, আমার ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন আমি বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করবো। আমি গতবার পুলিশে দাঁড়িয়েছিলাম কিন্তু রিটেন পরীক্ষায় বাদ পড়ে যাই। সেখান থেকে আমি অনুপ্রেরণা নিয়ে এবার আবার দাঁড়িয়েছি। এবার আমি বিনা পয়সায়, কোনো ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়েছি। সেজন্য নাটোরের পুলিশ সুপার মহোদয়কে অসংখ্যাক ধন্যবাদ।

চাকরি পাওয়া অমিত বলেন, আমি গত বার পুলিশের চাকরি পরীক্ষায় বাদ পড়েছিলাম। তারপর নিজেকে সেই ভাবে তৈরি করেছি। যেন এবার চাকরিটা পাই। এবার চাকরির পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হয়েছে। আমি আমার মা-বাবা ও পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করেছি। 

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, নাটোর জেলায় ২২৭৫জন প্রার্থী নিয়ে আমাদের পথ চলা শুরু হয়। এরপর শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা, লিখিত পরীক্ষায় ফলাফলে ৮৮ জন উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থী তাদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন আমাদের বোর্ড। বোর্ডের সমন্বয়ে তিন সদস্যের কমিটি তাদের পরীক্ষা গ্রহণ শেষে আজ ৪২ জন উত্তীর্ণদের ফলাফলা ঘোষণা করা হয়। যারা বাংলাদেশ পুলিশে চাকরিতে অংশগ্রহন করেছিল তাদের আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। তারা বাংলাদেশ পুলিশের মতো গৌবরময় ও মর্যাদা মতো পেশাকে সম্মান জানিয়েছে। ভালোবেসে চাকরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আজ যারা চাকরি পেলেন তাদের পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তারা সংগ্রাম করেছে এ চাকরির জন্য। যারা আজ চাকরি পেল তারা তাদের সম্মান, মেধা ও সততা দিয়ে দায়িত্বে সঙ্গে দেশসেবা করে যাবেন।

এর আগে নাটোরে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরির জন্য প্রথম ধাপে ২২৭৫ প্রার্থী জন অংশগ্রহণ করেন। যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর লিখিত পরীক্ষায় ৮৮ জন উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় ৩৬ জন পুরুষ ও ৬ জন নারীসহ মোট ৪২ জন প্রার্থী নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।