পটুয়াখালীর বাউফলে রাতের আঁধারে জুয়েল মাহমুদ মৃধা নামে এক যুবলীগ নেতার মাছের আড়তে আগুন দিয়েছেন দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাত আনুমানিক পৌনে চারটার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের বগি তুলাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আড়ত মালিক জুয়েল মৃধা কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য আগুন দেওয়া হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আড়তের কর্মচারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত পৌনে চারটার দিকে আড়তের সামনে রুমে আগুন দেখতে পান কর্মচারী নাজমুল। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আড়ত ঘরের দক্ষিণ পাশে কাঠের জানালার ফাঁক দিয়ে খড়-কুটা দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই আগুন পুরো রুমে জড়িয়ে পড়ে। আগুনে কাঠের পাটাতন ও তোষক পুড়ে যায়।
ঘটনার সময় আড়তে থাকা কর্মচারী মো. নাজমুল ইসলাম (২২) বলেন, রাত চারটার দিকে মায়ের ফোন পেয়ে সেহেরি খেতে ঘুম থেকে উঠি। উঠে দেখি পুরো আড়ত ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে আছে। সামনের রুমে গিয়ে দেখি ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুন দেখে ডাক চিৎকার দিলে পাশের দোকানে থাকা লোকজন এগিয়ে আসে। সবাই মিলে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
আড়তের ম্যানেজার মো. জিহাদ ( ৩০) বলেন,‘ হিসাব-নিকাশ শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি চলে যায়। রাত সাড়ে চারটার দিকে আগুনের খবর পেয়ে আড়তে এসে দেখি হিসাব রুমে ম আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানালার ফাঁক দিয়ে খড়-কুটা দিয়ে যে আগুন লাগানো হয়ে তার আলামত ও একটি লাঠি প্রমাণ হিসেবে পরে রয়েছে। মুলত ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতি করার জন্য হিসাবের খাতাপত্র ও ক্যাশ বাক্স টার্গেট করে আগুন দেওয়া হয়েছে। অল্পের জন্য হিসাবের খাতাপত্র রক্ষা পেয়েছে।
আড়তের মালিক যুবলীগ নেতা জুয়েল মৃধা বলেন, আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত করলেই ঘটনার সাথে জড়িত ও মুল হোতা বের হয়ে আসবে।
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন,‘ লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।