ভিডিও প্রচার করায় ৫ সাংবাদিকসহ নারীর নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:০১ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি
শেরপুরের ঝিনাইগাতী সদরের চম্পা মল্লিক নামে এক নির্যাতিত নারীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার অভিযোগে ৫ সাংবাদিকসহ ওই নারীকে ১নং আসামী করে থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছে মহিউদ্দিন মোল্লা বাবুল নামে জনৈক সুদারু।
২৪মার্চ রবিবার দুপুরে এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযুক্তরা হলেন- দাদন গ্রহীতা চম্পা মল্লিক, দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি দুদু মল্লিক, নিউন্যাশন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ দুদু, দৈনিক মানবকণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক এবং গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু হেলাল।
নির্যাতিত নারী চম্পা মল্লিক ও তার পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী বাজারে সুদারু হিসেবে খ্যাত জনৈক বাবুল মোল্লার কাছ থেকে ২০১৩ সালে গহনা বন্ধক রেখে মাসিক ১৫হাজার টাকা লাভে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাদন গ্রহন করে। দাদন গ্রহনের পর থেকে নিয়মিত ৩ বছর মাসিক ১৫হাজার টাকা করে বাবুল মোল্লাকে চম্পা মল্লিক লাভ প্রদান করে। এরপর ২০১৭ সালে চম্পা মল্লিক বাবুল মোল্লাকে আসল ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু বাধঁসাজে লাভের কিছু টাকা নিয়ে। এই লাভের টাকার জন্য প্রায় সময়েই বাবুল মোল্লা চম্পা মল্লিকের বাড়ীতে গিয়ে লাভের টাকা চেয়ে হুমকি-ধামকিসহ নানা অশালিন গালাগাল করে।
সেই সাথে চম্পা মল্লিককের বসতবাড়ী তালা মেরে বাড়ী দখলের হুমকি প্রদান করে বাবুল মোল্লা। তার এইসব অত্যাচর সইতে না পেরে চম্পা মল্লিক স্থানীয় সাংবাদিকদের তার নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে একটি ভিডিও সাক্ষাতকার প্রদান করে। এই ভিডিও'র পরিপ্রেক্ষিতে মহিউদ্দিন মোল্লা বাবুলের সাক্ষাতকারের জন্য তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেয়। পরে ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ার পর সুদখোর মহিউদ্দিন মোল্লা বাবুল সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে গিয়ে উল্টো তাদের নামে থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে ওই সাংবাদিকরা জানান, মহিউদ্দিন মোল্লা বাবুল একজন বড় মাপের সুদারু। তার অপকর্ম ডাকতেই সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
৫ জন সাংবাদিক ও ১ নারীর নামে চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বছির আহমেদ বাদল জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।