ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রেমে রাজি না হওয়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রেমে রাজি না হওয়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ঘরে তারাবির নামাজ পড়ছিলেন নানি। নানি নামাজরত অবস্থায় ঘরের বাহিরে থাকা টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বের হন দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের ঘরের নাতনি। এসময় টিউবওয়েলের পাশে ওতপেতে থাকা প্রতিবেশী মো. জহিরুল ইসলাম মনির (২০) নাতনির নাক, মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে নিয়ে যায় বাড়ির পূর্ব পাশে বাঁশঝাড়ের নিচে। নানি জায়েদা খাতুনের ভাষ্য, 'বাঁশঝাড়ে নিয়ে যাওয়ার একপর্যায়ে জহিরুল ইসলাম জোরপূর্বক নাতনিকে ধর্ষণ করে চলে যায়। নাতনি তাৎক্ষণিক শারীরিক অসুস্থ অবস্থায় বিষয়টি আমাকে জানায়।'

এ ঘটনায় নানি মোছা. জায়েদা খাতুন (৫৫) বাদী হয়ে গত ২৪ মার্চ রবিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মো. জহিরুল ইসলাম মনিরকে আসামি করে একটি লিখিত দায়ের করেন। এর আগে গত ২৩ মার্চ শনিবার আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের হাঁসের আলগী গ্রামের জামাল উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জায়েদা খাতুন বলেন,' আমার বৃদ্ধ অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করি। দশম শ্রেণি পড়ুয়া আমার মেয়ের ঘরের এক নাতনীকে নিয়ে থাকি। প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম মনির আমার নাতনীকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিনিয়তই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসত। আমার নাতনী তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায়শই রাস্তা-ঘাটে ওতপেতে বসে থেকে নাতনিকে কুপ্রস্তাব দিত। আমার নাতনি কুপ্রস্থাবের বিষয়ে আমাদেরকে জানালে আমরা মনিরের অভিভাবককে এ সম্পর্কে অবগত করেও কোন ফলাফল পাইনি। পরবর্তীতে গত শনিবার রাতে সময় আমি তারাবির নামাজরত অবস্থায় থাকার সময় আমার নাতনি ঘরের বাহিরে টিউবঅয়েল থেকে পানি আনার জন্য গেলে আসামী আমার নাতনিকে নাক, মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে বাড়ির পূর্ব পাশে বাঁশের ঝাড়ের নিচে নিয়ে গিয়ে আমার নাতনিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকরাম হোসেন বলেন, 'ঘটনাটি আমিও শুনেছি। আমি চাই সত্যটা বেরিয়ে আসুক।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, 'এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মেয়ের জবানবন্দি নিয়ে মেডিকেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধর্ষণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত