দাম ভালো থাকায় কৃষকের হাসি 

সিরাজগঞ্জে আগাম মৌসূমী ক্ষিরা শসার চাষাবাদে বাম্পার ফলন

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯ | অনলাইন সংস্করণ

  এস, এম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে এবার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে আগাম মৌসূমী ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজান মাসে হাট-বাজারে এ ক্ষিরা শসার দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ ক্ষিরা শসা তোলায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলসহ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ৭০০ হেক্টর জমিতে এ ক্ষিরা শসার চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় হাট-বাজারে এই ক্ষিরা শসা উঠছে এবং পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার ভিড় জমে উঠেছে। বিশেষ করে রমজান মাসে এ ক্ষিরা শসার চাহিদা বেশি। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষিরা শসার আড়ৎও গড়ে উঠছে।

বিশেষ করে তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার অনেক স্থানে এসব আড়ৎদে ক্ষিরা ও শসার স্তুপ গড়ে উঠেছে। এ ক্ষিরা শসা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা। পাইকারী প্রতি মণ ক্ষিরা শসা গড়ে ১১০০ থেকে সাড়ে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এ ক্ষিরা শসা হাট-বাজারে খুচরা মূল্য ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বল্প খরচে এ চাষাবাদে দাম ভালো পাওয়ায় এখন কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, তাড়াশ, কাজিপুর, উল্লাপাড়া, চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদ করা হয়েছে। তবে যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলে এই ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ক্ষীরা ও শসা চাষ করতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত ক্ষীরা বিক্রি হয় ৩৩ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। এ আবাদে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম। এজন্য কৃষকেরা এ লাভজনক ক্ষিরা শসা চাষে আগ্রহী বেশি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আগাম ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার শীত মৌসুমে জেলায় সাড়ে ৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় কৃষকদের এই চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছেন। এ কারণে ক্ষিরা শসা চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট-বাজারে এখন দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।