পন্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সকলকে নিয়ে কাজ করছি : ভোক্তা ডিজি

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সকলকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

আজ শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর নগরীর সিটি বাজার মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে মিডিয়ায় প্রচার হয় কিন্তু দাম কমলে আর প্রচার হয় না। বেগুনের কেজি ১০০ টাকা ছিল, একদিন সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। বর্তমানে দাম কমে বেগুন এখন রংপুরে ৩০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৮০ টাকা প্রচার হলেও বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়নি। মিডিয়ায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি প্রচার হলেও পণ্যের দাম কমার বিষয়ে প্রচার হয় না। যার ফলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগটা গ্রহণ করে।

ভোক্তার ডিজি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে উত্তরাঞ্চলে দ্রব্যমূল্য কেন বাড়ছে সেই বিষয়ে মনিটরিংয়ে আমরা এসেছি। তাছাড়া আমরা বাজারে আসলে দাম কমে, চলে গেলে আবার দাম বাড়ে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। অন্যান্য জেলায় এই মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে দ্রব্যমূল্য কমছে। এরফল হিসেবে ৮০০ টাকার তরমুজ আজকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৫৯৫ টাকায় এবং ১০০ টাকার বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, না হলে পাগলা ঘোড়ার মতো দাম বাড়তো।

ভোক্তার ডিজি বলেন, প্রতিটি জেলায় ভেজাল, নকল প্রতিরোধে কাজ করছি। রংপুরের বাজারে ভোজ্যতেল অস্বাস্থ্যকর ড্রামে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া ড্রামে রাখার কারণে কোনটা সয়াবিন তেল আর কোনটা পাম ওয়েল সেটা বোঝা মুশকিল। এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করছি।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা নাই এটা ভুল ধারণা। আমরা সমন্বয় করে কাজ করি সবসময়।
সিটি বাজার মনিটরিংয়ের সময় বিএসটিআইয়ে নকল লোগো ব্যবহারের দায়ে ১০ হাজার এবং ভোক্তা অধিকার আইনে ১ হাজারসহ মোট দুইজন ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, শিল্প মন্ত্রণালয়য়ের অতিরিক্ত সচিব শামীমুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয় ও উপ প্রকল্প পরিচালক মো. জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন,পুলিশ সুপার ফেরদৌস অঅলী চৌধুরী প্রমূখ।