ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ

ঈশ্বরদীতে আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ

ঈশ্বরদীর বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এবং আখের সঙ্গে ‘সাথী ফসল’ হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়ণে আখের সঙ্গে সাথী ফসল শীর্ষক মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলার এক নম্বর সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া গ্রামে রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণায ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবু তাহের সোহেলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসআরআইয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. মো. আতাউর রহমান, মৃত্তিকা ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গাজী মো. আকরাম হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ড. মো. আনিসুর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণ প্রযুক্তি হস্তান্তর বিভাগের প্রধান মো. হাসিবুর রহমান।

এসময় বক্তব্য রাখেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম এবং কৃষক সোলাইমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান। এই মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে ৭০ জন কৃষক-কৃষানী উপস্থিত ছিলেন। উলেখ্য, আখ একটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল। তাৎক্ষণিক অর্থ না আসায় কৃষকরা তাই দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলেন। কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের সহায়তা কল্পে ঈশ্বরদীর বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট গত ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে শুরু করেছে একটি প্রকল্পের কার্যক্রম। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের নাম ‘আখের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজিজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্প।’ এই প্রকল্পের কারণে কৃষকরা সাথি ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে পাশাপাশি আখ শিল্পকে নিয়ে আবার নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। কৃষকদের মাঝে প্রকল্পটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

সুগার ক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্টরা জানান, আখ বাংলাদেশের খাদ্য ও শিল্পে ব্যবহার্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থকরী ফসল, যা জমিতে প্রায় ১৩-১৪ মাস থাকে। উপরন্তু তুলনামূলকভাবে আখের মূল্য না বাড়ার কারণে কৃষকরা আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে দিন দিন আখ চাষের জমির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সার্বিকভাবে দেশের চিনিশিল্পের ওপরে। তাই আখ ফসলকে এ বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য আখের সঙ্গে আরেকটি স্বল্পমেয়াদি ফসল চাষ করে কৃষক ও এই শিল্পকে রক্ষা করার জন্য এই প্রকল্প গঠন করা হয়েছে। আখের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর, মুগ, আলু, কপি, মসলাজাতীয় ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন চাষ করা হচ্ছে।

ঈশ্বরদীর ইলশামাড়ী এলাকার কষক সোলেমান বলেন, ‘আমি জমিতে আখের সঙ্গে সাথি ফসল পিয়াজ চাষ করেছি। ১ বিগা জমিতে আখের সাথে সাথী ফসল হিসাবে পিয়াজ উৎপাদন করে প্রায় ৪০ মন পিয়াজ উৎপন্ন হবে।

বিএসআরআইর মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী বলেন, আখ চাষে দুই সারির মধ্যবর্তী স্থানের ফাঁকা জমি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকে। ওই ফাঁকা জমিতে সাথি ফসল হিসেবে ডাল, মসলা, সবজি চাষ করিয়ে কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করানো হচ্ছে এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রথম বছর সফলতার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় বছরে তারই ধারাবাহিকতায় প্লট স্থাপনের কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে।

ঈশ্বরদী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত