নির্বাচনে কে আসলো কে আসলো না দেখার বিষয় নয়: ইসি রাশেদা সুলতানা

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনে কে আসলো কে আসলোনা সেটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। যারা নির্বাচনে আসবে তারা জনগণের মন জয় করে নির্বাচন করবে। তবে নির্বাচনের সময় আসলেই বুঝা যাবে কে আসলো আর কে আসলো না।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের সভা ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে রংপুর বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবানে এসব কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিক প্রসঙ্গে ইসি বলেন, সাংবাদিক নিতিমালা আছে, যা তারা মেনে চলবে। সাংবাদিক নির্বাচনে সততা ও নিষ্ঠার সহিত সংবাদ পরিবেশন করবে। কে আসল সাংবাদিক আর কে ভুয়া সাংবাদিক এটা বের করার দায়িত্ব সাংবাদিকদের বা সাংবাদিক সংগঠন গুলোর। প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন আছে তারা এ সমস্যার সমাধান করবে। আমাদের বিচার বিভাগে সমস্যা হলে আমরা আমাদের বিভাগের বিচার করবো। সেরকম আপনাদের কাজ আপনাদের করতে হবে। আর নির্বাচনে আমরা সাংবাদিকদের পাশ দিবো, যারা পাশ পাবে তারাই নির্বাচন পরিদর্শন করবে। নচেৎ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা প্রভাব বলতে কিছু বুঝিনা। আমাদের কাছে কোন অভিযোগ এলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো। যারা নির্বাচন আইন বহির্ভূত কাজ করবে তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলবো এসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে। আসা করবো কেউ প্রভাব বিস্তারে কাজ করবে না। আপনারা সাংবাদিকরা অন্যায় টাকে তুলে ধরবেন আমরা ব্যবস্থা নেব।

ইভিএম প্রসঙ্গে ইসি বলেন, ইভিএমে ভোটের অবস্থানে আমরা নেই। ইভিএম সচল থাকলেও ইভিএমে ভোট নেয়া সম্ভব নয়।

রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভা রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি পঙ্কজ চন্দ্র রায়।

এ সময় রংপুর বিভাগের সকল জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, আনছান ব্যাটালিয়নসহ সিভিল-গোয়েন্দা সকল বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।