পটুয়াখালীতে চার বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে পাশের বাড়ীতে পিয়াজ আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মোঃ জসিম।
তিনি জানান, এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের মোঃ জসিম হাওলাদারের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও ওসি মোঃ জসিম জানান।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, "ধর্ষণের ঘটনাটিকে প্রথমে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মহল সালিশ-মীমাংসার কথা বলে কাল ক্ষেপন করেছে। যে কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে।"
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ভুক্তভোগির পরিবার দিনমজুরী ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ঘটনার দিন গত ২৩ মার্চ বেলা ১১ টায় মেয়েকে বাড়িতে রেখে নিকটবর্তী বাবার বাড়িতে যায় তার মা। এদিকে মা বাড়িতে আসতে দেরি করায় মেয়েটি পাশের বাড়িতে পিয়াজ আনতে যায়। তখন ওই বাড়ীর মোঃ শফিকুল ইসলাম ফুসলিয়ে মেয়েটিকে তাদের ঘরের মধ্যে নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শফিকুল। পরে মেয়েটির ডাক চিৎকারে পাশের ঘরের লোকজন এগিয়ে আসলে শফিকুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ঘটনার পরপরেই মেয়েটির মা ও বাবা ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও চৌকিদারকে জানালেও তারা শালিস ব্যবস্থার কথা বলে কালক্ষেপন করেন।
জানতে চাইলে বড় বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার জানান, "বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদার কে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করি।"
এ বিষয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চৌকিদার মোঃ মাসুদ হোসেন।
তবে মোঃ মাসুদ হোসেন জানান, "নির্যাতনের বিষয়টি ২৩ তারিখ রাতেই বিট অফিসার সদর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম স্যারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি"।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়েটির মায়ের দায়েরকৃত একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছি। ইতমধ্যে মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রচেষ্টা চলছে।