ঢাকা ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্ত্রী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী ২২ বছর পর গ্রেপ্তার

স্ত্রী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী ২২ বছর পর গ্রেপ্তার

দীর্ঘ ২২ বছর পালিয়ে থাকার পর সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চাঞ্চল্যকর জেসমিন নাহার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিহতের স্বামী আরশাদ আলী মিস্ত্রীকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃত আরশাদ আলী মিস্ত্রী আশাশুনি উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের মৃত আদম আলী মিস্ত্রীর ছেলে। র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানি সদর থেকে বুধবার (২ এপ্রিল) রাত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনা জেলার দিঘুলিয়া থানাধীন বারাকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেসমিন নাহারের সাথে মৃত্যুর ১১ বছর পূর্বে আরশাদ আলীর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আরশাদ আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে কাজের সুবাদে শ্যামনগর উপজেলার নোয়াবেকী গ্রামে বসবাস করতো। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০২ সালের ২২ জুন সেখানে যৌতুকের টাকা নিয়ে স্ত্রীর সাথে আরশাদ আলীর বাকবিতন্ডা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরশাদ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে চেরা কাঠদিয়ে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করলে জেসমিন নাহার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বোন বাদী হয়ে আরশাদ আলীর বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে আরশাদ আলী পলাতক ছিলেন। এ মামলায় ইতিমধ্যে আদালত আসামি আরশাদ আলীর মৃত্যুদণ্ড দেয়।

র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক এএসপি নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স¤প্রতি র‌্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরশাদ আলী মিস্ত্রীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে খুলনা জেলার দিঘুলিয়া থানার বারাকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত মৃত্যুদ্বন্ড প্রাপ্ত আসামী আরশাদ আলীর বাড়ি আশাশুনি উপজেলার মধ্যে হওয়ায় তাকে আশাশুনি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার,মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত